অপহরণের ১৮দিন পার হলেও রহস্যজনক কারণে এখনো উদ্ধার হয়নি ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা আক্তার। অপহৃত স্কুল ছাত্রীর বাবা মো. কুটি মিয়া জানান, আমার মেয়ে ফাতেমা আক্তার কাচঁপুর আইডিয়াল স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
গত ২২শে ফেব্রুয়ারি সকালে সে স্কুল যাওয়ার পথে কাচঁপুর সোনাপুর এলাকার মাসুদ সরদারের ভাড়াটিয়া আবু কালামের বখাটে ছেলে মো. আরমান ও তার সহযোগীরা কাচঁপুর মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে জোরপূর্বক অপহরনণ করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আশেপাশে খোঁজ নিয়ে কোন সন্ধান না পেয়ে সোনারগাঁও থানায় গিয়ে অপহরণকারীর নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগের পর এসআই মোতালেব আমার মেয়েকে উদ্ধার না করে বিবাদীর বাসায় এসে বিষয়টি মিমাংশা করার কথা বলে চলে যান।
এভাবে সময় যেতে থাকে কিন্তু আমার নাবালিকা মেয়ের কোন সন্ধান পাচ্ছি না। পরবর্তীতে আবারও থানায় গিয়ে যোগাযোগ করলে এসআই আনিসুর রহমান বলেন যে উক্ত অপহরণের ঘটনায় মামলা করে দিয়েছি। এখন আদালতের ব্যাপার।
আমি একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী মানুষ। আমি পিঠা বিক্রি করে পরিবার চালাই। আমি কি করে মামলার খরচ চালাবো আর কি করেই আমার নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করবো? সরেজমিনে কাচঁপুর সোনাপুর এলাকায় অপহরণের অভিযুক্ত আরমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে তার বাবা মা মামলা হওয়ার পরও চিন্তামুক্ত
ভাবে বসবাস করছে। আসামীকে ধরার ক্ষেত্রে বা অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা নিরব।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোতালেব বলেন, অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে। সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, উক্ত মামলার আাসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশাা করি দ্রুত অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার হবে।