সিদ্ধিরগঞ্জে মশার কয়েল তৈরির দুইটি অবৈধ কয়েল কারখানা মালিককে দু’লাখ টাকা জরিমানা করেছে নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে মিজমিজি মতিন সড়ক এলাকায় কারখানা দু’টিতে অভিযান চালায় তিতাস কর্তৃপক্ষ। কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করার অভিযোগে তাদের জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া খানম।
অভিযান শেষে তিতাসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাক মাসুদ ইমরান জানান, মতিন সড়ক এলাকায় জাহাঙ্গীর ও কামাল হোসেন তাদের কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস লাইন সংযোগ দেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া খানম জানান, কারখানা দু’টিতে অবৈধভাবে গ্যাস লাইন সংযোগ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় দু’জনকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ তিতাসের প্রকৌশলী মশিউর রহমান, শাকিল মন্ডল, শফিকুল ইসলাম, সহকারি প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন ও শাহরিয়ার আলম।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: রফিকুল ইসলাম জানান, মিজমিজি এলাকায় বিশটির অধিক কয়েল করাখানা রয়েছে। প্রত্যেকটি কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। তিতাস কর্তৃপক্ষ কয়েকমাস পর পর অভিযান চালিয়ে অর্থ জরিমানা ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
কিন্তু কয়েক ঘন্টা পরই তিতাসের লোকজনের সাথে কথা বলে আবার সংযোগ দিয়ে দেয়। ফলে আবাসিক গ্রাহকরা গ্যাস পাচ্ছেন না। আমরা গ্যাস না পেয়েও প্রতি মাসে গ্যাসের বিল দিতে হয়। বিল দিতে দেরি হলে আমাদের বৈধ লাইন কেটে নিয়ে যায়।
একই এলাকার গাজী সোহেল ক্ষোভের সঙ্গে জানান, আবাসিক এলাকায় গ্যাস না থাকায় কয়েল কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এলাকাবাসীকে নিয়ে একাধিকবার মানববন্ধন
ও বিক্ষোভ মিছিল করেছি। কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া বলেন, অবৈধ সংযোগের পাশাপাশি অধিকাংশ কয়েল কারখানায় মোটরের সাহায্যে গ্যাস টেনে নিয়ে যায়। এতে আবাসিক গ্রাহকরা গ্যাস পায়না। লোকজনের কষ্ঠ সহ্য করতে
না পেরে কিছুদিন আগে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আমি নিজে উপস্থিত থেকে বহু কারখানার অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন ও মোটর খোলে নিয়েছিলাম। তখন গ্যাসের সমস্যা ছিলনা। অসুস্থ থাকায় নজরধারী করতে না পারায় কারখানা মালিকরা আবার সংযোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। গ্যাস না পেয়েও বিল দিতে হচ্ছে আবাসিক গ্রাহকদের।