বাংলাদেশে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বর আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। মার্কিন কোম্পানিগুলোও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তবে এখানকার রেগুলেটরি বডি শক্তিশালী হওয়া খুবই দরকার।
গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের (ইউএমপিএল) ৫৮৪ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্রকল্প পরিদর্শনকালে পিটার হাস এসব কথা বলেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ইউনিটের প্রধান জোসেফ গিবলিন, ইউএমপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহির উদ্দিন মোল্লা এবং জিই (জেনারেল ইলেকট্রিক) গ্যাস পাওয়ারের দক্ষিণ এশিয়ার সিইও দীপেশ নন্দা এ সময় পিটার হাসের সঙ্গে ছিলেন।
ইউএমপিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রকল্পের ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রকল্পটি বাণিজ্যিকভাবে (কর্মাশিয়াল অপারেশন ডেট-সিওডি) বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করার কথা রয়েছে। কেন্দ্রটির কমদামে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণেই বিপিডিবির কাছে মেরিট অর্ডারে শীর্ষস্থান দখল করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছে।
নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাটে ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাস-ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের জন্য স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেড, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড এবং জিই-এর কনসোর্টিয়াম ২০১৮ সালের ২৫ জুন এ প্রকল্পের ঠিকাদার বা ইপিসি নিযুক্ত করে জিইকে। পরবর্তী পর্যায়ে নেব্রাস পাওয়ার কিউ.পি.এস.সির প্রতিষ্ঠান ২৪ শতাংশ ইক্যুইটি অংশীদায়িত্ব নিয়ে প্রকল্পে যুক্ত হয়।
চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ইউএমপিএল, জিই এবং নেব্রাসসহ আন্তর্জাতিক
বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতায় এসইআরভি, এআইআইবি, ডিইজি এবং ওপেকের তহবিল থেকে প্রকল্পে বিনিয়োগ এসেছে। এ বিনিয়োাগ এখানে বিশ্বমানের অবকাঠামো নির্মাণে সাহায্য করেছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশের জনগণকে পরিবেশসম্মত, নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
তিনি আরও জানান, এটি একটি পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ প্রকল্প। কেন্দ্রটি অন্যান্য বিদ্যমান কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের তুলনায় কম গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।