সাজেদার তিন মেয়ে। স্বামী অনেক আগেই মারা গেছে। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এক কন্যা নিয়ে একটি খুপরি ঘরে দুই হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকেন। নেই একটুকরো জমি। গার্মেন্টসে ভূয়ার কাজ করে কোন মতে পেট চলে তার।
শুধু সাজেদা নয় সাজেদার মতো সুমন ঘোষ, সালেহা বেগম ও আব্দুর রব মিয়ার একই অবস্থা। তারপরও তারা জীবন যুদ্ধে থেমে নেই। সাজেদা বেগম জানান,আমি প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে খুব আনন্দিত। আমার ছিলনা কোন জমি। আমি এতো দিন নিজেকে গৃহহীন মনে করতাম। মনে মনে ভাবতাম জীবনে কি আমার একটা বাড়ি হবে না।
আমি কি কোন দিন জমির মালিক হবো না। কিন্তু আল্লাহর হুকুমে শেখের বেটি আমার একটা ঘর বানিয়ে দিয়েছে। আমাকে আর কেউ বলতে পারবে না আমার জমি নাই। আমি এখন একটি বাড়ির মালিক।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আনন্দিত সালেহা বেগম। সালেহা বেগম বলেন আমি ঘর পেয়ে খুব খুশি। আমরা সব দুঃখ কষ্ট চলে গেছে। আমার এখন মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। শেখ হাসিনা গরীবের কষ্ট বুঝে জমি ও গৃহ নির্মান করে দিয়েছেন। সুমন ঘোষ ও রব মিয়ার একই অভিমত। আমাদের এখন জমি আছে, ঘর আছে। আমাদের মাথা রাখার ঠাঁই হয়েছে। এখন আমরা নতুন স্বপ্ন দেখবো। শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন।
বুধবার (২২ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার গৃহহীন- ভূমিহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্ভোদন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৮ টি গৃহহীন পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়। ঘরের চাবি পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে গৃহহীনরা তাদের অভিমত এভাবেই ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি পরিবার ও গৃহহীন থাকবে না তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। এ কাজ ততদিন পর্যন্ত চলমান থাকবে যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে একটি পরিবার গৃহহীন থাকবে।