সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি উত্তর পাড়ায় জমি বিক্রিকে কেন্দ্র করে বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনায় চিহ্নিত ভূমিদস্যু মো. রোকশত আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মো. রোকশত আলী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি উত্তর পাড়া এলাকার মৃত আতব অলীর ছেলে।
গতকাল সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এরআগে মমতাজ বেগম নামে এক ভুক্তভোগী চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি উত্তর পাড়া এলাকার মো. মোক্তার হোসেন (৪২), মো. আলতার হোসেন উরফে আন্ডার হোসেন (৫৭), মো. রোকশত আলী (৫৫), সৌরভ (২৮)।
মামলার সূত্রধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রবিবার দিবাগত রাতে মো. রোকশত আলীকে গ্রেপ্তার করেন।জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত মো. রোকশত আলী বাদি মমতাজ বেগমের ভাই।
পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ২৩.১৪ শতাংশ জমি তারা তিন বোন গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সাব কওলা মূলে বিক্রির করা জন্য রেজিষ্ট্রি বায়না দলিল করেন। বায়না দলিল করার পর থেকে অভিযুক্তরা চাঁদা দাবি করে আসছে। একপর্যায়ে তাদের কোন টাকা দিবেনা বললে তারা জমি বিক্রি করতে দিবে না বলে হুমকি প্রদান করে।এরপর গত ১৯ মার্চ সকাল ১১টার দিকে বায়না মূলে ক্রয়কৃত মালিকদের উক্ত জমি
সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি উত্তরপাড়া মার্কিনস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সফর আলীর বাড়ীর পাশে সরেজমিনে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য উপস্থিত হলে অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ নিয়ে তিন বোনের উপর হামলা চালায় ও মারধর করে গুরুতর জখম করে। একপর্যায়ে বাউন্ডারী ভেঙ্গে ফেলে ক্ষতি সাধন করে।
এ সময় রোকশত আলী মমতাজের গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন
ছিনিয়ে নিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে আত্মচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে তাদের টাকা না দিলে যেখানেই পাইবে ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে চলে যায়। এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ইয়াউর রহমান বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত রোকশত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।