জাতীয় মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়’র আয়োজনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক : আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ ) দুপুরে জামতলা জাতীয় মহিলা সংস্থা, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থা শিক্ষা বিদ পরিচালক সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ কর্মাস কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শিরিন বেগম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শিরিন বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময় বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না। তুমি জন্ম নিয়েছো বলে মুজিব তোমার আরেক নাম স্বাধীন বাংলা দেশ। এক সময় আমরা বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলাম। সে সময় বঙ্গবন্ধুকে প্রধানমন্ত্রীত্ব দিতে চেয়েছে কিন্তু তিনি না করে দিয়েছেন। ১৯৭১রে ৩রা মার্চ চাষাড়া বালুর মাঠে শামসুজ্জোহা সাহেবের একটি সমাবেশে আমাকে কক্তব্য দিতে বলে আমি শামসুজ্জোহা সাহেবকে বলি পারবো না। শামসুজ্জোহা সাহেব সমাবেশে আমাকে বক্তব্য দিতে সাহ যুগিয়েছেন।
তিনি আরোও বলেন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের এটাই আমাদের স্বাধীনতার সূত্রপাত হয়েছে। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমিও ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটে সেই ভাষণে সেই সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়েছে। ২৫ মার্চ গণ হত্যা দিবস যাকে বলে যাকে বলে কালো রাত্রিত। এই রাত্রিতে পরিকল্পনা করে গণ হাড়ে হত্য যোগ্য চালায়। সে সময় বুদ্ধিজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সহ হত্যা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। সেইসময় বাইতুল আমান এর সামনে মিলিটারিরা গুলি করছে। তখন আমি ইয়ং ছিলাম। আমাদের খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ হয়ে গেল।
২৫ মার্চে মধ্য রাতে ৩২ নং ধানমন্ডি বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে রাওয়াল পিন্ডিতে নিয়ে যায়। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে বলেছিল আমাদের কথা না শুনলে তোমাকে মেরে ফেলা হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন মুসলমান এক বারই মরে আমি মৃত্যুকে ভয় পাইনা। আর আমার লাশটা আমার দেশে পাঠিয়ে দিও। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণে অনেকেই মুক্তিবাহিনীতে অংশগ্রহণ করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হলো বীরঙ্গনার সন্তানদের পিতৃপরিচয় কি হবে বঙ্গবন্ধু বললেন তাদের পিতির নাম হবে বঙ্গবন্ধু। আর তাদের ঠিকানা হবে ডানমন্ডি ৩২ নং বাড়ি।
তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে দুর্বৃত্তরা মেরে ফেলে। সেই সময়ে আমাদের প্রয়াত জননেতা নাসিম ওসমান বর যাত্রী নিয়ে বাসর ঘরে নববধূকে রেখে ইন্ডিয়াতে চলে যান। আমাদের বিশ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ও ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময় আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। তাই সেই বীর শহীদদের আমরা বাঙালীরা কখনও ভুলতে পারব না। যুদ্ব কালী সময় নারীরা কিন্তু রাজাকার ছিল না। তাই নারীরা উচ্চ মর্যাদায় রয়েছেন।
জেলা ভিত্তিক কমিউনিকেশন প্রশিক্ষস প্রকল্প (৬৪ জেলা) জে,ডি, ম,ক, প্র,প্রকল্প সহকারী প্রোগ্রামার মেহেরুন নেছা মিতালি ‘ সঞ্চলনায় আরোও উপস্থিত ছিলেন, সাবিনা আক্তার, মল্লিকা কর্মকার, মাসুমা খাতুন, রোজিনা আক্তার সহ আরোও অনেক নেতৃবৃন্দগণ।