ফতুল্লায় পূর্ব শত্রুতা ও জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা শামীম তালুকদারকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসী খলিল বাহিনীরা। পরে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত শামীম তালুকদার ও তার মেনেজার আসলামকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ফতুল্লার পঞ্চবটিস্থ এলাকায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী খলিল বাহিনী এ হামলা চালায়। আহত যুবলীগ নেতা শামীম তালুকদার (৪৭) ফতুল্লার শাসনগাও এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের পুত্র এবং মেনেজার আসলাম (৩৫) ফতুল্লার শিহারচর এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ফতুল্লার শাসনগাও এলাকার বাসিন্দা ফরিদপুরের খলিলের সাথে যুবলীগ নেতা শামীম তালুকদারের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে মেনেজার আসলামকে সাথে নিয়ে শামীম তালু্কদার তার ফতুল্লার বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী খলিল ও তার বাহিনী শামীম তালুকদারকে গতিরোধ করে।
এসময় তারা কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে শামীম তালুকদার ও আসলামের পেটে ও পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এসময় স্থানীয়রা আস্তে আস্তে জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীর পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে খানপুর হাসপাতালে গেলে সেখান থেকে আজগর আলী হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে তাদের ধানমন্ডি পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রিজাউল হক দিপু জানান, লোক মাধ্যমে ঘটনা শুনতে পেরেছি তবে এখনো কেউ থানায় এসে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। ঘটনার সংবাদ পেয়ে এবিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে এবং যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।