সিদ্ধিরগঞ্জে এসও রোড এলাকার হোমিও ডাক্তার ডি. এম. আলমগীর হোসেন ২০১৩ সালে ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন নাভানা সিটি সংলগ্ন দক্ষিণ কদমতলীর নয়াপাড়া এলাকায়। তার সাথে একই দাগে আরো ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি। আব্দুল মান্নান ঘর নির্মাণ করে বসবাসের সুযোগ পেলেও ডা. আলমগীর সেখানে নিজে এখনো পর্যন্ত কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে পারেননি।
এদিকে আব্দুল মান্নানের পরিবার থাকার ঠাই হলেও মাত্রারিক্ত হারে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। যার চিহ্ন আব্দুল মান্নানের পরিবারের সদস্যরা বয়ে বেড়াচ্ছে।
অন্যদিকে নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে প্রতিপক্ষরা মামলা, হামলা, হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ডি. এম. আলমগীর হোসেনের কাছে বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও দশ বছরে তিনি তার সম্পত্তি ভোগ দখল করতে পারছেনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হোমিও ডাক্তার আলমগীরকে প্রতিপক্ষরা তার সম্পত্তি ভোগ করতে দিচ্ছে না। নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে প্রতিপক্ষরা মামলা, হামলা, হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ডা. আলমগীর আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী মোকদ্দমা (নং ২১/২০২৩) এবং পিটিশন (নং ৪৩/২৩) দায়ের করেন।
পিটিশন এর তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলো- দক্ষিণ কদমতলীর মৃত ফজলের ছেলে আব্দুর রহামান (৫৭), নয়াপাড়া এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে আক্তার হোসেন (৩৫), আব্দুল হান্নানের ছেলে সোহেল (৩০), মৃত আলমাছ আলীর ছেলে সামছুল হক (৫২) ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪০), আব্দুল হান্নানের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩৬) এবং আব্দুল মোতালেবের স্ত্রী হালিমা বেগম (৫৭)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ডা. আলমগীরের ২৬ শতাংশ জমিতে ১৬টি দোচালা ও চৌচালা টিনের ঘর নির্মানাধীন বিদ্যুতের সংযোগ ছিল। নির্মাণ কাজ করতে গেলে অভিযুক্তরা বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেয় এবং বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এছাড়া নানাভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে একই দাগে ক্রয়কৃত ৬ শতাংশ জমির মালিক মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে জসিম জানান, এ জমি ক্রয় করার পর থেকে অভিযুক্তরা নানাভাবে আমাদের নির্যাতন করে আসছে। আমাদের ঘর-বাড়ি নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে আসছে। বৃষ্টি হলে রাস্তায় ও ঘরে পানি উঠে যায়, বালু ও মাটি ফেলতে গেলে তারা বাধা দেয়।
এসব বিষয় নিয়ে অভিযুক্তরা বেশ কয়েক বছর আগে আমাদের ঘর ভাঙচুর ও আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার বাবার মাথা ফেটে গেলে ৭টা শেলাই করতে হয়। দীর্ঘদিন বাবা অসুস্থতায় ভুগে অবশেষে মারা যায়। আমার মায়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে হামলাকারীদের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা কাউকে কিছু বলতেও পারছিনা, কেউ আমাদের সহযোগীতা করতে আসেনা।
ভুক্তভোগী ডা. ডাক্তার ডি.এম. আলমগীর জানান, ২০১০ সালে উক্ত জমির মালিক ছিলেন শাহজাহান গং। অভিযুক্তরা তাদেরকেও একইভাবে মামলা-হামলা করে হয়রানি করেছে। পরে মামলায় শাহজাহান গং এর পক্ষে আদালত রায় দেয়। পরে ২০১৩ সালে আমি উক্ত সম্পত্তি ক্রয় করার পর তারা একইভাবে আমার সাথে এবং আমার প্রতিবেশী মৃত আব্দুল মান্নানের পরিবারেরন সাথে হয়রানি মূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে।