বন্দরে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দুইটি সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দের জের মেরাজ (২৬) হত্যাকান্ড। বিগত ১৩ মার্চ দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা এবং মেরাজ হত্যাকান্ডের ঘটনা একইসূত্রে গাঁথা।
এদিকে মেরাজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মেরাজের মা বাদী হয়ে নাসিক ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহীন মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৪ জমের নামীয় অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মেরাজ হত্যাকান্ডকে পূজি করে গতকালও রুপালী এলাকায় বারি ঘরে হামলা ও লুটপাট অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত রব(৪৫) ও স্বপন(৪৮) কে আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ। কাউন্সিলর শাহীন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে প্রসাশনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ন্ট্যাটাস দিয়েছে। সালেহ নগর ও রুপালী এলাকায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মেরাজ খুনের ঘটনাকে পুঁজি করে এলাকায় ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো: সানাউল্লাহ সানুর ভাতিজা ফয়সালগং এর বিরুদ্ধে।
(বুধবার) সকালে লুটপাটের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছালে ফয়ছালসহ তার লোক পালিয়ে যায় এসময় লুটের মালামালসহ দুটি নছিমন গাড়ি আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনাকে পুঁজি করে বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর ভাতিজা ফয়সাল, হামদুর মেয়ের জামাই ইসলামসহ ১৫/২০ জন লোক অভিযুক্তদের এবং তাদের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: শাহিন মিয়া, রুপালী আবাসিক এলাকার পাঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি দুলাল মিয়া, রুপালি এলাকার কালাম মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, আলম মিয়ার ভায়রার বাড়ি, সাজুয়া, বাকী শেখ,রুপালী পন্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রব,সালেহ নগর এলাকার মাসুদ, স্বপনের বাড়িসহ ২০/২২ টি বাড়িতে হামলা বাংচুর ও লুটপাট করে সন্ত্রাসীরা।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।