মুসল্লিদের কাছে পবিত্র রমজান মাসের জুমার নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই রমজানের জুমার জামাতে অন্য সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মুসল্লি অংশ নেন। প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই পবিত্র রমজানের তৃতীয় জুমায় নগরীর মসজিদে-মসজিদে ঢল নেমেছিল মুসল্লিদের। কোথাও-কোথাও মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের নামাজের জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বাইরে ও রাস্তায় নামাজ পড়তে দেখা গেছে।
এদিকে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার পর থেকেই মসজিদের ভেতর সামনের দিকে জায়গা পেতে আজানের আগেই মুসল্লিরা মসজিদে আসতে শুরু করেন। খুতবার আগেই পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে মসজিদগুলো। নামাজ শেষে মোনাজাতে মুসল্লিরা নিজের এবং দেশের মানুষের কল্যাণ কামনা করেন।
বিশেষ করে নগরীর মাসদাইর সিটি করপোরেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, চাষাঢ়া নূর মসজিদ, ডিআইটি মসজিদ, ফকিরটোলা জামে মসজিদ, নিতাইগঞ্জ বাইতুল ইজ্জাত জামে মসজিদ, চাষাঢ়া রেললাইন মসজিদ, বাগে জান্নাত মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে এ চিত্র দেখা গেছে।
এসব মসজিদে নামাজের আগেই মুসল্লিদের সারি চলে আসে রাস্তায়। রেললাইন মসজিদের সামনে একপাশের অর্ধেক রাস্তায় চলে আসে মুসল্লিদের নামাজের কাতার।
নগরীর প্রধান মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম নূর মসজিদে দেখা গেছে মসজিদের ভিতরে জায়গা না পেয়ে অনেকেই নামাজ পড়েছেন সিঁড়িতে। প্রায় একই চিত্র ছিলো ডিআইটি মসজিদের। সেখানেও মসজিদ পাশের সড়ক বন্ধ করে দিয়ে সাময়িকভাবে মুসল্লিদের নামাজের জায়গা করে দেয়া হয়েছে।
নামাজের আগে প্রতিটি মসজিদেই বিশেষ বয়ান দেওয়া হয়। এতে ধর্মীয়, সামাজিক ও রমজানের তাৎপর্যসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মসজিদের ঈমাম ও খতিবরা।
এছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, বন্দর, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়ের মসজিদগুলোতেও ছিল মুসল্লিদের ঢল।