নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা শান্তি সমাবেশ করছি সকালে আর বিএনপি অশান্তি সমাবেশ করবে বিকেলে ঠিক ইফতারের আগ মুহূর্তে। এতে জনদুর্ভোগ বেড়ে যাবে। পবিত্র রমজান মাসে মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে।
আমি বিএনপির ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা নির্বাচনে আসেন। বিদেশীদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করে কোন লাভ হবে না। বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের একটাই রাস্তা আর সেটা হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনে জয়লাভ করলে আপনারা ক্ষমতায় আসবেন। আপনাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেবো। আরেকটা কথা বলতে চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হাইকোর্ট বাতিল করে দিয়েছে, তা আর এদেশে ফিরে আসবে না।
শনিবার ( ৮ এপ্রিল ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিএনপি- জামাত শিবিরের রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, মীর্জা ফখরুল সাহেব বললেন তারেক জিয়া নাকি শিশু মুক্তিযোদ্ধা ছিল। আরে তারেক জিয়া তো ছিলো তার মায়ের সাথে ক্যান্টনমেন্টে। তারেক জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর চেষ্টা করবেন না। আরে মীর্জা ফখরুল আপনি তো বলেছিলেন পাকিস্তান ভালো ছিলো, তাহলে চলে যান পাকিস্তানে। এই দেশে থাকবে না এই দেশে খাবেন আর পাকিস্তানের গুনগান গাইবেন তা হবে না।
আপনার বাবা তো ছিল ঠাকুরগাঁওয়ের প্রখ্যাত রাজাকার। আর আপনি করতেন এনএসএফ। এনএসএফ হচ্ছে তৎকালীন সরকারী দলের গুন্ডা বাহিনী। আপনি সেই গুন্ডাবাহিনী সদস্য ছিলেন।
বিএনপির আমলে আপনাদের সেই দুঃশাসন এবং আগুন সন্ত্রাসের কথা এখনো দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিলেন ৫১১ জন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস রয়েছে সাড়ে তিন হাজার, ওদের আগুন সন্ত্রাস থেকে কেউ রক্ষা পায়নি।
রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট সব ধ্বংস করে দিয়েছিলো যা করেছিলো সেই একাত্তর সালে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উঠিয়েছিল।
বিএনপির ভাইদের উদ্দেশ্যে বলবো আসুন অশান্তি সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশটাকে গড়ে তুলি। খালেদা জিয়ার মত নির্বাচনের ট্রেনে উঠতে ফেল করবেন না। নির্বাচনের ট্রেনে উঠতে ফেল করলে জনগনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।
এছাড়ুাও এডভোকেট খোকন সাহা মেয়র আইভী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কঠোর সমালোচনা করে দলের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
এদিকে শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকে। মিছিলে মিছিলে আর নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে উঠে আসে বিএনপি জামাতের আগুণ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. হান্নান আহমেদ দুলাল’র সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল,মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুৎ কুমার সাহা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. আতিকুর রহমান সোহেল, সদস্য শিখণ সরকার শিপন,১২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম, ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, মহানগর তাঁতীলীগের আহবায়ক চৌধুরী এইচএম শাহেদসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।