গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, সার, ডিজেল কৃষি উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি সহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বৃহত্তর মহানগর বিএনপি।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডস্থ কবিলের মোড় এলাকায় এই অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর বিএনপির সদস্য ও বন্দর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব আওলাদ হোসেন এবং বন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক এর সঞ্চালনায় এ অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হাজী নুরুউদ্দিন, এম.এইচ মামুন, সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, মনিরুজ্জামান মনির।
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, সদর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সরকার আলম, যুগ্ম-আহবায়ক পাভেজ মল্লিক, দিদার খন্দকার, রাশেদুল ইসলাম টিটু, বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক হান্নান সরকার, সদস্য সচিব এ্যাড. শরীফুল ইসলাম শিপলু, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাশেম, বন্দর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, মহানগর বিএনপি নেতা ফারুক চৌধুরী, আল-মামুন, সাইফুল ইসলাম পনির হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শহীদ মেম্বার, হুমায়ুন মোল্লা, কাবিল হোসেন, মোসলেউদ্দিন, আমজাদ হোসেন, নেছার উদ্দিন, জুয়েল আহম্মেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ডলি আহম্মেদ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের চাকরী নাই, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঠিক মত খেতে পাচ্ছে না। কথা বলার স্বাধীনতা নাই, বিচার ব্যবস্থা সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, মানুষের ভোটাধিকার নাই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাই। আর এই সকল বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলেই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হামলা জেল জুলুম করছে এই অবৈধ সরকার। এই সরকার উন্নয়নের নামে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। আর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই বিএনপি নেতাদের গুম খুন করে। সভাসমাবেশে পাখির মত গুলি করে মানুষ হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় ভয় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। মনে রাখবেন এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার আদায়ের কথা বলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে আপনারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রেখেছেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে বাঁধা সৃষ্টি করছেন। আপনাদের কোন বাঁধাই আর কাজে দিবে না। এই দেশের মাটিতে আপনাদের সকল অপরাধের বিচার হবে, পালাবার পথ খোঁজে পাবে না।
প্রধানবক্তা হিসেবে আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, রাতের আধাঁরে ভোট দেয়ার দিন শেষ, এটা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বহু দলীয় গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। এদেশের মানুষ নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য বুকের তাঁজা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলো। কিন্তু আওয়ামীলীগ ১৯৭৫ সালে ক্ষমতায় এসে মানুষের বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে দেশে বাকশাল কায়েম করেছিলো। কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পুনরায় এসে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে ছিলো। বিএনপি মানেই মানুষের অধিকার আদায়ের কথা বলে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনটিকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগামী দিনে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে নেতৃত্ব দিবে আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি সদস্য আমিনুর ইসলাম মিঠু, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, আলম, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জুলহাস, কলাগাছিয়া বিএনপির নেতা আব্দুল কাদের, ফয়সাল আহম্মেদ, মাজেদা বেগম, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আলতাব হোসেন ইব্রাহীম, ফয়সাল আহম্মেদ, ২০নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক হৃদয় আহম্মেদ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।