বন্দরে সার বোঝাই একটি ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে ১০,৮০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ।
রোববার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দস্থ ঢাকাগামী লেন থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ফরিদপুর জেলার সদর থানার ৯নং ওয়ার্ডের শোলাকুন্ড এলাকার মৃত কলিম উদ্দিন শেখের ছেলে ট্রাক চালক আল আমিন(২৫),একই জেলার মুধখালি দস্তররিয়া এলাকার নওয়াব আলী চৌধুরী ছেলে হেলপার আশিক চৌধুরী (২২) ও কক্সবাজার জেলার সদর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম লাহাড়পাড়া এলাকার মৃত আবু শর্মা মিয়ার ছেলে মাদক কারবারি সৈয়দ করিম(২৮।
এ ঘটনায় কামতাল তদন্ত কেন্দ্রর উপ-পরিদর্শক মোঃ আল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৩ মাদক কারবারিকে আসামী করেে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করে। যার মামলা নং- ২০(৪)২৩।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, কক্সবাজার থেকে একটি সার ভর্তি ট্রাক ইয়াবার চালান নিয়ে ফরিদপুর যাচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে রোববার সকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক বন্দরে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়।
এসময় সার বোঝাই ট্রাকটি ( ঢাকামেট্রো-ট- ১৩-১৩০৯) পৌঁছালে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এইচএম মাহমুদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ১০,৮০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ইয়াবা চালান পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চালক, হেলপার ও একজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হলেন, মাদক কারবারি মো.সৈয়দ করিম, কক্সবাজার সদর উপজেলার পশ্চিম লাহাড়পাড়া, ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আবু শর্মার ছেলে, চালক মো. আল-আমিন, ফরিদপুর সদর শোলাকুন্ডু এলাকার মৃত কলিম উদ্দিন শেখের ছেলে, হেলপাট মো.আশিক চৌধুরী,ফরিদপুর মধুখালী থানার দস্তরধিয়া গ্রামের মো. নওয়াব আলী চৌধুরীর ছেলে।
ইয়াবার চালান বহনের অপরাধে ট্রাকটি জব্দ করা হয়। এঘটনায় বন্দর থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।