নারায়ণগঞ্জ বৃহত্তর মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পার্টির অনুমোদন দেয়নি বন্দর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বাদ আছর বৃহত্তর মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ইফতার মাহফিলের স্থান পরিদর্শন শেষে বিষয়টি নিশ্চত করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা তাদের ইফতার মাহফিলের সকল আয়োজন পুলিশের অনুমতি না দেয়ার কারনে ব্যর্থ হওয়ায় দু:খ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বন্দর থানা পুলিশ ইফতার মাহফিলের অনুমোদন না দেয়ায় এর তীব্র নিন্দা জানান।
এসময় তারা আরও বলেন, সরকার এতাটাই ভীত যে এখন বিএনপিকে পবিত্র রমজান মাসেও ইফতার পার্টির অনুমতি দিতে চায় না। তারা জানে যে কোন সময় তাদের পতন সুনিশ্চিত।তারা বহু আগেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা বৃহত্তর মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই হাজার নেতাকর্মীদের জন্য ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ছিলাম।
কিন্তু এই অবৈধ সরকার তার পেটুয়াবাহিনী দিয়ে আমাদের ইফতার মাহফিলে বাঁধা সুষ্টি করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে অবৈধ সরকারকে বলে দিতে চাই আপনাদের পতন এখন সময়ের ব্যাপরা। এতাদিন জানতাম আপনারা শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভয় পান। কিন্তু না আমাদের সেই ধারণা ভুল ছিলো। এখন আপনারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের তৃণমূল নেতাকেও ভয় পান। এখন তৃণমূল কর্মীর সামনে আপনাদের কথা বলার সাহস নাই, কারন আপনারা রাতের আধারের ভোটচুরি করে ক্ষমতায় এসেছেন। তাই পবিত্র রমজান মাসেও বিএনপি নেতাকর্মীদের এক সাথে বসে ইফতার করতে দেওয়ার সাহস আপনাদের নেই।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সদন থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী ফারু হোসেন, সদস্য সচিব আওলাদ হোসেন, বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক হান্নান সরকার, সদস্য সচিব এ্যাড. শরীফুল ইসলাম শিপলু, যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাক আহম্মেদ, মহিলা নেত্রী রাবেয়া বসরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।