বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সুস্থ্যতা কামনায় মিলাদ ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় নগরীর ডিআইটি মসজিদ সংলগ্ন মার্দ্রাসায় এই আয়োজন করা হয়।
সদর থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় আয়োজিত মিলাদ ও ইফতার মাহফিল পুর্বক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হাজী নুরুউদ্দিন আহম্মেদ, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, আমিনুর ইসলাম মিঠু, বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক হান্নান সরকার, বন্দর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. বিল্লাল হোসেন।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আজকে আমরা দেশের মানুষের গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য রাজপথে থেকে মামলা হামলার শিকার হচ্ছি। আর অন্য একটি গ্রæরুপ বিএনপির ছায়া তলে থেকে সরকারী এজন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন জায়গায় আমাদের বদনাম করে বেড়াচ্ছে। তারা বিএনপির নাম বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভাড়ি করছে, যা আমরা স্থানীয় মিডিয়াতে দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আড়াই হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বন্দরে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ছিলাম। কিন্তু প্রশাসন আমাদের ইফতার মাহফিল করার অনুমোতি দেয়নি। এতো দিন জানতাম দেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা, মানুষের ভোটাধিকার হরন করে নিয়েছে সরকার। কিন্তু এখন দেখছি পবিত্র রমজান মাসেও তারা আমাদের ইফতার মাহফিল করার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।
দিন যতই যাচ্ছে এই অবৈধ সরকারের নির্যাতনের মাত্রা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। তাই আসুন আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হয়ে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঈদের পরেই গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলন ও দেশমাতার মুক্তির জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে জাপিয়ে পরি।
প্রধান বক্তা হিসেবে আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হলে শুধু বিএনপিকে রাজপথে থাকলে চলবে না সকলকেই এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ গ্রহন করতে হবে। মনে রাখবেন এটা শুধু আপনার আমার একার অধিকার না, ভবিষ্যত্ব প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে। মনে রাখবেন আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ হয়ে পরাধীরতার ধু¤্রজালে আর থাকতে চাই না এবং ভবিষ্যত্ব প্রজন্মকেও রাখতে চাই না।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল, সদর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সরকার আলম, আনোয়ার মাহমুদ বকুল, দিদার খন্দকার, পারভেজ মল্লিক, জুলহাস, মোস্তাফিজুর রহমান পাবেল, সদস্য এ্যাড. শহীদ সারোয়ার, রাশেদুল ইসলাম টিটু, মনির মল্লিক, আজীম সরদার, বন্দর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাশেম, যুগ্ম-আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, নেছার উদ্দিন, আল-মামুন, ফারুক চৌধুরী, সদস্য সাইদুর রহমান, সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস রাজীব, জাহাঙ্গীর হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মো: সাফী, আমিনুল ইসলাম, কলাগছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শহীদ মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মাহমুদ, বিএনপি নেতা সলিম উল্লাহ করিম, সুজন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর শ্রমিক দলের সাবেক সদস্য সচিব আলী আজগর, যুগ্ম-আহবায়ক ফজলুল হক, মহানগর গামেন্টস শ্রমিক দলের সদস্য সচিব সেলিম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।