ফতুল্লার দেওভোগ বাঁশমুলি এলাকার শির্ষ সন্ত্রাসী এক ডজনেরও বেশী মামলার আসামী আফজাল কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মামলার এজাহারনামীয় আসামী কাউসার মুন্সিকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ একটি টিম। পরে শনিবার দুপুরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাউসারকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত কাউসার মুন্সি ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ নুর মসজিদ এলাকার খলিল মুন্সি ছেলে। সে দেওভোগ বাঁশমুলি এলাকার দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী রাজু প্রধানের অন্যতম সহযোগী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির-২ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দেওভোগ বাঁশমুলি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রূপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে আফজালকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে এবং হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে। এ সংক্রান্তে আফজালের বাবা সন্ত্রাসী রাজু প্রধান সহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার ১২ নং আসামি সন্ত্রাসী কাউসার মুন্সিকে র্যাব-১১ একটি টিমের সহযোগীতা নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য যে,৬ এপ্রিল সকাল নয়টার দিকে নারায়নগঞ্জ জেলা আদালতে একটি মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয় আফজাল। রিক্সায় করে দেওভোগ মাদ্রাসার পেছনে হাজী নিজামের বাড়ীর সামনে যাওয়া মাত্র অভিযুক্ত আসামীরা দেশীয় অস্ত্র- সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী রাজুর নেতৃত্বে আফজালকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপায়। এসময় সন্ত্রাসীরা আফজালকে হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা রক্তাক্ত অবস্থায় আফজালকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। পরে রক্তাক্ত জখম হয়ে আফজাল অজ্ঞাতনামা একটি অটোরিক্সায় করে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এসে রাস্তায় পরে যায়। পরে আফজালের স্বজনেরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাকে চিকিৎসার জন্য শহরের জেনারেল (ডিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়। পথিমধ্য নিহত আফজাল স্বজনদের নিকট হামলার বর্ননা করে ঘাতকদের নাম বলে যায়।
তিনি আরো জানান, আফজাল হত্যা মামলায় ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী রাজু বাহিনীর প্রধান রাজুর বাবা মামলার এজাহার নামীয় আসামী রিয়াজ প্রধান ও ভাই পায়েল প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।