রূপগঞ্জে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মেহেদী হাসান সজীব (১৬) নামে দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে স্কুল ক্যাম্পাস থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ সময় রিপতি, অনিক, শিমুল নামের আরও তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তাদেরকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার ভুলতা এলাকার ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান সজীব চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার কালিপুর এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বলাইখা এলাকার হারুন জাপানের বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সজীব আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। মিম নামের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে প্রেম নিবেদন করে আসছেন মেহেদী হাসান সজীব ও একই ক্লাসের সাকিব হাসান নামের আরেকজন।
আর নিমকে পছন্দ করা নিয়ে মেহেদী হাসান সজীবের একটি পক্ষ ও শাকিব হাসানের আরেকটি পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়। প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গতকাল শুক্রবার বিকেলে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
এর জের ধরে শনিবার দুপুরে স্কুলেরই কয়েকজন শিক্ষার্থী মেহেদিকে স্কুলের ভেতর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মেহেদী হাসান সজীবের পক্ষ ও শাকিব হাসানের পক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় মেহেদী হাসান সজীবকে ছুরিকাঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় । এ সময় রিপতি, অনিক, শিমুল নামের আরও তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাদেরকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল বলেন, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটবে কল্পনাও করিনি। এ বিষয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় কয়েকজন কিশোরের নাম আমরা পেয়েছি। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।