বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থ্যতা কামনায় জাকির খানের পক্ষ থেকে মিলাদ ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় নগরীর দেওভোগ জান্নাত কমিনিউটি সেন্টারে এই আয়োজন করা হয়।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার সভাপতিত্বে ও সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক পারভেজ মল্লিকের সঞ্চালনায় আয়োজিত মিলাদ ও ইফতার মাহফিল পুর্বক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হাজী নুরুউদ্দিন আহম্মেদ, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব আওলাদ হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, আমিনুর ইসলাম মিঠু, সদর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সরকার আলম, যুগ্ম-আহবায়ক দিদার খন্দকার, বন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মেজবা উদ্দিন স্বপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, যুগ্ম-আহবায়ক মো: সাফি, আমিনুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর যুবদল নেতা রাশেদুল ইসলাম টিটু, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, সাবেক সদস্য সচিব আলী আজগর, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক দেলোয়ার শাহ, মহানগর মৎসজীবি দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন রতন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আজকে আমাদের বাংলাদেশের কোথাও ইফতার মাহফিল করার অনুমতি দিচ্ছে না। তারা আমাদের ইফতার মাহফিলকেও ভয় পায়। এতো দিন জানতাম দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা, ভোটাধিকার হরন করে নিয়েছে সরকার। কিন্তু এখন দেখছি পবিত্র রমজান মাসেও তারা আমাদের ইফতার মাহফিল করার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।
আজকে এই সরকার তারেক জিয়াকে ভয় পায় কেন কারন এই দেশের মাটি ও মানুষের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান। তারা দেশের মানুষের ভোটাধিকার দিতে চায় না। কারন তারা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের অস্থিত্ব থাকবে না। তত্ত¡াবধায় সরকারের বিল পাশ করতে চায় না, তারা জানে এটা হলে তাদের পায়ের তলায় মটি থাকবে না। সকল দুর্নীতি দেশের মানুষের কাছে উন্মোচন হয়ে যাবে। আগামী রমজানের ঈদের পরে রাজপথে থেকে এই অবৈধ সরকারের পতন নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ।
এসময় তিনি আরও বলেন, আজকে একটি গ্রæরুপ বিএনপির ছায়া তলে থেকে বলে আমি নাকি কার নাম বিক্রি করে খাই। এটা কোন কথা হলো আমি আমার বাপের নাম বিক্রি করে খেতে পারবো না। পারলে তোমাদের বাপ-দাদার নাম বিক্রি করো। আবার বলে আমি নাকি ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে চলি। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে ছিলাম। তিনি বলে ছিলেন তুমি একজন জনপ্রতিনিধি দেশের উন্নয়নের জন্য এমপির সাথে বসে এক সাথে কাজ করতে হবে। দেশের স্বার্থে তোমাকে সেটা করতে হবে।
আমি আমার নেত্রীর হুকুম মেনে কাজ করেছ্ িকিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোন অর্থ ক্যালেঙ্কারীর অভিযোগ নাই। যেটা তোমাদের বিরুদ্ধে আছে। আমি আমার এলাকায় কাজ করেছি বলেই বন্দরের মানুষ আমাকে এতো ভালবাসে। তাই এরপর থেকে কোন অভিযোগ করার আগে হিসেব করে করবে।
প্রধান বক্তা হিসেবে আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আজকে এই ইফতার মাহফিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থতা কামনায় করা হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে দ্রæত সুস্থতা দান করে। তিনি যেন সুস্থ্য হয়ে আমাদের নেতৃত্ব দিতে পারেন আমরা এই কামনা করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নুরুউদ্দিন ভাই বলেছেন ভবিষ্যত্ব নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে হলে বয়সে ছোট হলেও একজন নেতা নির্বাচন করতে হবে। তার সাথে আমি একমত হয়ে বলতে চাই আজকে থেকে আমাদের নেতা আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল। তার নেতৃত্বেই আগামী দিনে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে থাকবো এবং সফল হবো ইনশাল্লাহ।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান পাবেল, সদস্য আজীম সরদার, বন্দর থানা বিএনপির সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, মহিবুর রহমান মফিজ, কলাগছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শহীদ মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মাহমুদ, বিএনপি নেতা সলিম উল্লাহ করিম, সুজন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাহিদ হোসেন, কায়ুম, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক ফজলুল হক, মহানগর গামেন্টস শ্রমিক দলের সদস্য সচিব সেলিম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা ফরিদ আহম্মেদ।