ফতুল্লার দাপা-ইদ্রাকপুর শাজাহান রোলিং মিল খাঁ বাড়ি মানেই মাদক, জুয়া, দেহ ব্যবসা, ছিনতাই, ব্লাকমেইলিং সহ বিভিন্ন অপরাধ৷ আর এই অপরাধ জগতে এখনও জড়িত রয়েছে রনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গ্রেফতার করলেও এবং একাধিকবার তার বাড়িতে হানা দিলেও জামিনে বের হয়ে এসে সবজি বিক্রির অন্তরালে মাদক ব্যবসা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে৷
উল্লেখিত অপরাধের মূল হোতা রনি ও তার স্ত্রী সাদিয়া৷ রনি-সাদিয়া মূলত তাদের বাড়িতে মাদক ও জুয়ার আসর বসিয়ে থাকে৷ এসব ব্যবসার সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে একটি সবজির দোকানকে৷ এলাকাবাসীর কাছে রনি নিজেকে সবজি বিক্রেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলেও মুখোশের আড়ালে সে একজন মাদক ব্যবসায়ী৷ রনির স্ত্রী সাদিয়ার তদারকিতে চলে সারারাতব্যপী জুয়া৷
টন, ঝান্ডু-বান্ডু, তিন কার্ড, ফ্লাস সহ এধনের জুয়া উঠতি বয়সের ছেলেদেরকে বিপথে পাঠাচ্ছে৷ এসব জুয়ার টাকা জোগাতে ছিনতাই, ব্লাকমেইলিং সহ কিশোর অপরাধে জড়াচ্ছে উঠতি বয়সের ছেলেরা৷
রনি অপরাধ এখানেই থেমে নেই, ভাড়াটিয়াবিহীন বাড়িতে মাদক ব্যবসা ও ইয়াবা-হিরোইনসহ অন্যান্য মাদক সেবন করতেও রুম ভাড়া দেয় রনি আর এই রুম ভাড়া দিতে হয় রনির স্ত্রী সাদিয়ার হাতে৷
আশে পাশের স্বল্প বেতনের গার্মেন্টস কর্মী ছেলে-মেয়েদের ব্লাকমেইলিং (স্থানীয় ভাষায় ফিটিং) করতে নিয়ে আসা হয় অন্ধকার এই বাড়িতে৷
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, রনি আর তার স্ত্রী সাদিয়া মাদক আর জুয়ার রমরমা ব্যবসা করছে৷ কিছুদিন আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোক এসে রনিকে মাদকসহ আটক করে নিয়ে যায়৷ তখন তার স্ত্রী অল্প পরিসরে এসব অপকর্ম চালালেও রনির জামিনে মুক্তির পর এসব অপরাধ কয়েকগুন বেড়ে গেছে৷
স্থানীয় আরেক ব্যক্তির ভাষ্যমতে, রনি জেল থেকে বের হয়ে হঠাৎ তরকারির দোকান দেওয়াতে আমরা ভেবেছিলাম হয়তো ভালো হয়ে গেছে কিন্তু রনি আসলে মাদক আর জুয়ার আখড়া বানিয়ে ফেলেছে৷ আমরা এখানে কিভাবে বসবাস করবো আর আমাদের সন্তানদের কিভাবে মানুষ করবো এখন সেটাই চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে৷
এমন অবস্থায় এলাকাবাসীর দাবী রনি আর তার স্ত্রীর জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চায় জনতা, বিশেষকরে শিক্ষার্থীরা যেন বিপথে না যায় সেজনে তারা প্রশাসনের শক্ত হস্তক্ষেপ কামনা করেন৷