নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি আপনাদের কাছে নিবেদন করছি আপনারা একটু সহযোগিতা করেন। আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা যাতে ঠিকমত স্কুলে যেতে পারে। খবরদার। শান্তিপূর্ণ বন্দরকে অশান্ত করবেননা। সন্ত্রাসী হিসেবে গন্য হইয়েন না। আপনি যেই হউন থাকতে পারবেন না। এখনও সময় আছে সংশোধন হউন। আসুন ক্ষমা চান। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিব। কিন্তু সন্ত্রাসী করবা, জায়গা দখল করবা কোন ছাড় দিব না।
কলাগাছিয়ায় আমার মেম্বারের কাছে ১ লাখ টাকা চায়। কোন সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দিবেন না। এই মাঠেই হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেছিলেন নারায়ণগঞ্জে একটাই দল আছে। ওসমান লীগ আর ওসমান পার্টি। তাই আমরা আপনাদের নিয়েই কাজ করছি। আজ আমার ভাইয়ের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী। আমার ভাই নাসিম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়িস্থ নাসিম ওসমান মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমানের নবম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
্এ সময় এমপি সেলিম ওসমান আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিদের বলছি। বন্দরের পবিত্রতা রক্ষা করেন। প্রতিরোধ কমিটি করেন প্রত্যেকটা ইউনিয়নে। তালিকা দেন কে সন্ত্রাসী করে বেড়ায় ? বন্দরে সাইনবোর্ড সাটানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আবার নতুন করে সাইনবোর্ড লাগানো শুরু হইছে। ডিস লাইন নিয়ে মারামারি হয়। রিক্সা লাইন নিয়ে মারামারি হয়। মানুষের কাছে চাদা চাওয়া হয়। এসব বন্ধ করতে হবে।
প্রত্যেকটা কাউন্সিলর, প্রত্যেকটা চেয়ারম্যান নাসিম ওসমানের প্রতি ভালবাসা আছে বললে চলবে না। নাসিম ওসমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে বন্দর উপজেলাকে সন্ত্রাস মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন একটা উপজেলা তৈরী করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান রইল।
এ সময় এমপি সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান ছাড়াও দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল,বন্দর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধাণ,বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত ই খুদা,অফিসার ইনচার্জ আবু বকর ছিদ্দিক,জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তথা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা,মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি দুলাল সাহা,সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর আফজাল হোসেন,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন,সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান,যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী এমএ সালাম, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ, সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য মাসুম আহমেদ,কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান,বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফয়সাল কবির প্রমূখ।