শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দরের রূপালী, আমিন ও ময়মনসিংহপট্টি এলাকায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সময় নদীর তীর বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা পরিচালনা করায় দুই ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মোঃ শহীদুল্লাহ, উপ পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক নাহিদ হোসেন সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এসময় একটি এক্সাভেটর (ভেকু) দিয়ে অনুমোদনহীন কয়েকটি ডকইয়ার্ডসহ শতাধিক অবৈধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সেমিপাকা ঘর, টং ঘর, ড্রেজারের পাইপ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানকালে শেফা ডকইয়ার্ড, খান ডকইয়ার্ড, আবুল হোসেন ডকইয়ার্ড, খন্দকার ডকইয়ার্ডসহ কয়েকটি ডকইয়ার্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, নৌপুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মারুফ জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে নদীর পূর্ব তীরে বন্দরের রূপালী, আমিন ও ময়মনসিংহপট্টি এলাকায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এসময় নদীর তীর বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা পরিচালনা করায় দুই ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে মোসলেহ উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা ও আনোয়ার হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।