নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আতাউর রহমান (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে তার শিশু কন্যার সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় আহত আতাউর রহমান ও তার শিশু মেয়ের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে এলাকার সন্ত্রাসী সাইফুল (২৫) সহ তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহত আতাউরকে উদ্ধার করে প্রথামিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আতাউর রহমানের মা মোছা: আয়েশা বাদী হয়ে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) সহ অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার বিকেলে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের গংগানগর এলাকার তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার গংগা নগর এলাকার কমল হকের ছেলে আতাউর রহমান গত বুধবার তার মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার সময় তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে আসলে ঝাউচর এলাকার সাইফুল ইসলাম (২৫) সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন পুর্বশত্রুতার জেরে তার শিশু মেয়ের সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।
আহত অবস্থায় তাকে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আরো জানা যায়, আহত আতাউরের বাম হাতের কুনুই ভেঙ্গে যায়, এবং ডান হাত ও বাম হাতের কবজি থেতলে যায়।
আহত আতাউরের মা আয়েশা বলেন, আমার ছেলেকে বিনা অপরাধে আমার অবুজ নাতনীর সামনে রাস্তায় ফেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বাবা সিরাজুল ইসলাম জানান, কারো প্ররোচনায় আমার ছেলে এ ধরনের কাজটি করেছে ভিকটিম আমার ভাগিনা। আমি খবর শুনেই আতাউরকে দেখতে হাসপাতালে যাই এবং আমার ছেলের বিচার আমি নিজ হাতে করবো বলে তাকে কথা দিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম সুমন জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।