ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউপিতে অবস্থিত শাসনগাঁও শাহী মসজিদের বরখাস্তকৃত ইমাম মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিককে পুর্নবহাল করার দাবীতে মসজিদের নিয়মিত মুসুল্লিদের সাথে মসজিদ কমিটির হট্টগোল। পরে মসজিদে মুসল্লীদের চাপে চাকুরীচ্যুত ঈমাম পুনর্বহাল হন।
শুক্রবার ( ১২ মে) বাদ জুম্মা নামাজ শেষে মুসুল্লিদের উপস্থিতিতে এ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে যে, বর্তমানে মসজিদ কমিটির সভাপতি হচ্ছেন এভারগ্রীন ক্যামিকেলের চেয়ারম্যান মোঃ আসলাম। তিনি প্রায় ২০ বছর যাবত এ দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এ পর্যন্ত মসজিদের আয়-ব্যায়ের হিসাব নিয়ে সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম থাকলেও তিনি কোন হিসাব নেয়নি এবং মসজিদের ইমাম সাহেব এ বিষয়ে মুসুল্লিদের সাথে আলোচনা করেন এ অযুহাতে তাকে অত্র মসজিদ থেকে বরখাস্তও করেন তারা।
স্থানীয় যুবক ইমরান হোসেন জিসানের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক প্রায় ৫ বছর যাবত দক্ষতার সাথে মসজিদের ইমামতি করে আসছেন। কমিটির সদস্যদের এরুপ অনিয়মের প্রতিবাদ করার ফলে তাকে বরখাস্ত করা হয়। গত শুক্রবারও জুম্মা নামাজের সময়ে এ বিষয়ে মুসুল্লিরা ইমাম আবু বক্কর সিদ্দিক সাহেবের বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চেয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ করলেও তা আমলে নেয়নি মসজিদ কমিটির সভাপতি-সহ-সভাপতি ও সেক্রেটারী। পরবর্তীতে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা করে স্থানীয়রা এবং এ বিষয়ে স্থানীয় পত্রিকাতেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো। এদিকে মসজিদের ইমামকে বরখাস্ত এবং আয়-ব্যায়ের হিসাবে অনিয়মের কারনে মুসুল্লিদের মাঝে মসজিদের ভেতরেই নামাজের পর পরই ব্যাপক বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তাদের দাবীর বিষয়ে মসজিদের ভেতরেই বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমাস দেওয়ান বলেন, মুসুল্লিদের দাবীর মুখে মসজিদের সাবেক ইমাম মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিককে পুর্নবহালের জন্য কমিটির কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা আশাবাদী আজ আছর নামাজে মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক সাহেব ইমামতি করবেন।
এদিকে মসজিদের ইমাম ও আয়-ব্যায়ের হিসাব সংক্রান্ত বিষয়ে মুসুল্লিদের ক্ষোভ যেন সংঘর্ষে পরিণত না হয় সেজন্য সকাল ১১টা থেকেই মসজিদের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আসলাম জানান, আমি ব্যস্ত মানুষ। মসজিদে আগের মত তেমন সময় দিতে পারিনা। তার জন্য সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন ও কমিটির নেতৃবৃন্দ মসজিদের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তাদের নেতৃত্বে মসজিদে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। মসজিদের ইমাম সাহেবের বদলী বিষয়ে নিয়ে ইমাম সাহেবের সাথে আলোচনা করা হয় মসজিদ কমিটির সাথে। তখন ইমাম সাহেব এ বিষয়ে কোন আপত্তি করেননি। তাকে ৪ মাসের বেতন দিয়ে না করে দেয়া হয়। আয়-ব্যায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা মসজিদে দিতে এসেছি নিতে নয়। এটা নিয়ে এলাকার কিছু মানুষ রাজনীতি করছে। আমি রাজনীতি বুঝিনা তাই অনেক আগেই বলেছিলাম যে, আমি এ পদে থাকবোনা। আমাকে এ পদে এলাকার মানুষের অনুরোধে রাখা হয়েছে।