ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ফতুল্লা থানা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈকত হাসান ইকবাল সহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোয় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদল, নারায়ণগঞ্জ জেলা, থানা, ও ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃবৃন্দগণ।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ জামিন বাতিল করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ফতুল্লা থানা পুলিশের নাশকতা মামলা নং- ২(১২)২২, আড়াইহাজার থানা পুলিশের নাশকতা মামলা নং- ৩৯(১১)২২।
এর আগে ২২জন নেতাকর্মী হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। আজ দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানী জামিনের জন্য আবেদন করেন। নারায়ণগঞ্জ আদালত ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর করে,
৮ জনের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোয় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সৈকত হাসান ইকবাল সহ সকল রাজবন্দী নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, ফতুল্লা থানা যুবদল সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল খান, ফতুল থানা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বিপ্লব, যুবদল নেতা আতাউর রহমান শামীম, বরকত উল্লা,আলামিন,মুকুল, বাবু, মাসুম, ছানোয়ার, ফরহাদ, তানভীর আহম্মেদ সোহাগ, দিদার, হাবিব, আলামিন, আকাশ সহ যুবদলের নেতৃবৃন্দরা৷ এসময় বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
যুবদলের নেতৃবৃন্দরা এক বিবৃতিতে জানান, এ রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট ও ব্যথিত । আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিনের আবেদন করবো। উচ্চ আদালতে আমরা ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করছি। সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আজ তাদের গ্রেফতারে বর্তমান অবৈধ সরকারের চলমান দুঃশাসনের নিরবচ্ছিন্ন অংশ।
আমরা এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড থেকে ও সমাবেশ, আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বারবার সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানালেও নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। আমরা আশা করি মহামান্য হাইকোর্ট এই প্রশ্নবিদ্ধ ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলার প্রতিফলন ঘটাবে।