সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের (১৯৭০-২০২৩) সনের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূর্ণ মিলন মেলা অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমান তার বক্তব্যে বলেছেন,স্কুলে অডিটোরিয়ামে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়! আমি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য এত টাকা খরচ করে ব্যবসা খুলে বসতে দেইনাই। এটাকে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন কর্মশালার প্রশিক্ষনের দেওয়ার জন্য করেছি। আমি চাইলে টাকা খরচ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারতাম সেটা করি নি।
সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় ৯৬ ব্যাচের বন্ধুদের অনুভুতি প্রকাশ করেন। আমি বঙ্গবন্ধু স্কুলের ছাত্র ছিলাম। এ স্কুলের নাম করন করেছিলেন মোসলে উদ্দিন চাচা আমার বাবার সাথে পরামর্শ করে বঙ্গবন্ধুকে অনেক রিকুয়েস্ট করে তার নামে এ স্কুলের নাম করন করা হয় বঙ্গবন্ধু স্কুল। আপনারা প্রতিবছর অনুষ্ঠান না করে প্রতিদিন আসবেন স্কুলে সহযোগিতা করবেন এটি সরকারী স্কুল চাইলেই আমি সব কিছু করতে পারব না।
তিনি আরোও বলেন, প্রধান শিক্ষক সাহেব বলেছেন আমাকে কলেজ করার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে এ স্কুলকে কলেজ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। আমি শেখ কামালের নামে নারায়ণগঞ্জ স্কুলের ভবন করেছি। বাহির থেকে দেখা যায় না ভিতরে গিয়ে দেখবেন দেখে বলবেন এটাকে কেন বিশ্ব বিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়নি। আপনারা যারা বলেন বঙ্গবন্ধু স্কুলের ভবনের কাজ আমি করে দিয়েছি অসম্ভব আমি করিনি যারা এ স্কুলের জায়গা দান করেছেন তাদেরই অবদান এটি তারা জায়গা না দিয়ে এখানে বড় বড় ভবন হতো না। আপনারা আপনাদের শিশুদের ভালো শিক্ষা দিবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল তাদেরকে শিখিয়ে দিবেন।
শুক্রবার (২৬ মে) সকাল থেকেই নাচ, গান, আনন্দ ও কৌতুক উৎসব মধ্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই গোগনগরে নাকি কিছু দিন আগে একটি হত্যা হয়েছে আবার শুনছি আরেকটি নাকি খুন হবে। আমি বলতে চাই তাদেরকে সাবধান হয়ে যান। ভালো হয়ে যান, ভালো না হলে এই গোগনগরে থাকতে পারবেন না। পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া হবে।একদলের দুইটির গ্রুপ হয়েছে। তরা বলবি কিভাবে পাশ করেন দেখব তদের ভোট আমার লাগবে না। তদের ভোট তরাই পকেটে গুজে রাখ। আমি চাই আমার মা বোনেরা শান্তি থাকবে, তারা ভয় পাবে না।
আপনারা এলাকায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলুন যদি না পারেন আপনারা আমাকে বলবেন আমি কাচের চুরি পাঠিয়ে দিব দুই হাতে পরে ঘরে বসে থাকবেন। আমি বলতে চাই এলাকায় সন্ত্রাসী না করে আমার কাছে আসেন আমার অফিসে আমি আপনাদের বসিয়ে মুরগির রোস্ট খাওয়াব। আপনাদের মিলিয়ে দিব দুই গ্রুপকে। আপনাদের কি সমস্যা আমাকে বলেন,তা সমাধান করে দিব। এই এলাকায় চেয়ারম্যান তিন জন! একজন নৌকার জসিম উদ্দিন একজন, ফজর আলী অপর জন ঘোড়া নূর হোসেন। ঐ দুইজন ফজর আলীকে সহযোগীতা করবে এটাই স্বাভাবিক তাই আসা করি আমরা।
এসময় গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী তার বক্তব্য ১ মাসের মধ্য সন্ত্রাস নির্মূল সমাজ কমিটি গঠন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, গোগনগর ইউপি ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম, ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার শেখ রফিক, ৬নংওয়ার্ডের মেম্বার বিপ্লব হোসেন, রুস্তোম আলী, সৈয়দ হোসেন, আবেদ, সম্রাট সরদার, নাছির, রুবেল, আনোয়ার হোসেন, সেন্টু দেওয়ান প্রমূখ।