জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সাথে খারাপ আচরনের পর এবার চোরাইকৃত মোবাইল উদ্ধারের ঘটনায় মামলার ভয় দেখিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর থানার বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই সুলতানের বিরুদ্ধে।
গত শনিবার (২৭ মে) রাতে বন্দর থানার ২১নং ওয়ার্ডের শাহীমসজিদস্থ সোহেল টেলিকম থেকে চোরাই মোবাইল উদ্ধারের পর নাবিলা র্ফামেন্সিতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে বন্দর থানার এএসআই সুলতানসহ সঙ্গীয় র্ফোস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাইকৃত মোবাইল উদ্ধারের জন্য বন্দর শাহীমসজিদস্থ সোহেল টেলিকমে অভিযান চালায়। অভিযান কালে পুলিশ উল্লেখিত দোকান থেকে চোরাইকৃত মোবাইলটি উদ্ধার করে।
পরে পুলিশ সোহেল টেলিকমের মালিক সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই সময় সোহেল জানায় গত ১ সপ্তাহে পূর্বে বন্দর শাহীমসজিদস্থ নাবিলা ফার্মেন্সি মালিক নুরুল মিয়ার কাছ থেকে না জেনে ৬ হাজার টাকা বিনিময়ে চোরাইকৃত মোবাইলটি ক্রয় করে বলে জানায়।
পরে এএসআই সুলতানসহ সঙ্গীয় র্ফোস সোহেলের দেওয়া তথ্যমতে নাবিলা র্ফামেন্সিতে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে এএসআই সুলতান নাবিলা র্ফামেন্সি মালিক নুরুল মিয়াকে মামলার ভয় দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে। এক পর্যায়ে নাবিলা র্ফামেন্সি মালিক নুরুল মিয়া পরিস্থিতি শিকার হয়ে ও মানসম্মানের কথা ভেবে উল্লেখিত এএসআইকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করে।
এ ব্যাপারে নাবিলা র্ফামেন্সি মালিক নুরুল মিয়া জানান, গত ১ মাস পূর্বে বন্দর শাহীমসজিদস্থ খালপাড় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী আলামিনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা বিনিময়ে না জেনে চোরাইকৃত মোবাইল ফোনটি ক্রয় করে।
এ ব্যাপারে এএসআই সুলতানের সাথে আলাপ কালে তিনি জানায়, শনিবার রাতে বন্দর শাহীমসজিদ এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট।
উল্লেখ্য, গত ১ মাস পূর্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সাথে খারাপ আচরনের অপরাধে জেলা পুলিশ সুপার এএসআই সুলতানকে ক্লোজ করেন। পরে তাকে পুনরায় বন্দর থানায় রিলিজ করা হয় বলে জানা গেছে।