ফতুল্লা থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি পিয়াস আহম্মেদ সোহেল রাজপথের পরীক্ষিত নেতা। সে জলে ভেসে এসে সভাপতি পদে আসীন হননি। তিনি তার যোগ্যতা দিয়ে এ অবস্থানে এসেছেন। শারীরিকভাবে অক্ষম হলেও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ এই নেতাকে নিয়ে এখন নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে একটি মহল। যাদের মূল টার্গেট জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ কাউছার আহম্মেদ পলাশ। ওই চক্রটি ভালোভাবেই জানে, সোহেলকে দূর্বল করা মানে পলাশকে দূর্বল করা। তাই তারা সোহেলের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে। আমরা দ্বিধাহীন কণ্ঠে বলতে চাই, এসব ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। আমরা সব ষড়যন্ত্রের জবাব রাজপথে দিতে চাই।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আলীগঞ্জ লেবার হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও ফতুল্লা থানা লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ ফতুল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাত্তার, অহিদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক কবির হোসেন রাজু, অর্থ সম্পাদক জামাল হোসেন, সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিপন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আহম্মেদ, শ্রমিক লীগ দাপা ইউনিট এর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক টিক্কা প্রমূখ।জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, আমাদের ৭নং ওয়ার্ডে কোন মাদক বা সন্ত্রাস নেই। যারা বাইরে থেকে এসে এখানে বসবাস করছে তাদের জিজ্ঞাসা করুন এখানে কেউ চাঁদাবাজি করে কি না। কেউ ইট, বালু, সিমেন্ট বা রডের ব্যবসা করে কি না। আমাদের নেতা আলহাজ্ব কাউছার আহম্মেদ পলাশের নেতৃত্বে একটি মাদক বিরোধী সভা হয় কিছুদিন পূর্বে। সেখান থেকে আমরা আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেই। আমার মনে হয় সেই মাদক ব্যবসায়ীরা এই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাছাড়া আমি ও সোহেল কিছুদিন আগে এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম।জাতীয় শ্রমিক লীগ ফতুল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, কাউছার আহম্মেদ পলাশের কোন অনুসারি কখনো চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসের সাথে জড়িত নয়। সোহেল আজ ৯ বছর ধরে অসুস্থ্য। দুই বপছর ধরে সে শ্রমিক লীগের দায়িত্ব নিয়েছে। আমার মনে হয় মালিক পক্ষ সোহেলকে ঘায়েল করতে এই মিথ্যা সংবাদ রটিয়েছে। তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। সোহেলকে নিয়ে আর ষড়যন্ত্র হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাত্তার বলেন, পিয়াস আহম্মেদ সোহেল একজন সংগঠক।
সোহেলকে হত্যা করতে ১২ বছর আগে হত্যা করতে গুলি করেছিল। কিন্তু তাতে সফল হয়নি খুনিরা। এখন শ্রমিক লীগের দায়িত্ব নেয়ার পর কুচক্রিরা ফের অপৎপরতা শুরু করেছে। আমাদের নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশকে দূর্বল করতেই সোহেলের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা সংবাদ।