রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি তেলের জাহাজের ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৪ জুন) মধ্যরাতে রূপগঞ্জে গাজী ব্রিজ সংলগ্ন দড়িকান্দি ডকইয়ার্ডে ‘ওটি সাংহাই এইট’ নামে জাহাজে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
এ সময় আগুনের শিখা ২০ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতায় ওঠে। খবর পেয়ে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ওই জাহাজের আগুন নেভায়। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন- জাহাজটির স্টাফ আ. মান্নান রাহাদ (২৩), হুমায়ুন কবির (৫৪), তাজুল ইসলাম লিমন (২৪), ইমতিয়াজ আহমেদ (৪২), রুবেল (৩৮), সোহেল (৩৮), নাজমুল (৩৩) ও রাকিব (২৪)। এদের মধ্যে হুমায়ুনের শরীরে ৩০ শতাংশ, তাজুলের ৬৭, ইমতিয়াজের ৩০, রুবেলের ৪৫, সোহেলের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জাহাজের আগুনের ঘটনায় মোট ৮ জন রোগীকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৪ জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তবে ভর্তি ৬ জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জাহাজটির স্টাফ দগ্ধ আ. মান্নান রাহাদ জানান, তারা জাহাজটিতে করে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীতে তেল নিয়ে যান। সেখানে তেল আনলোড করে তারা জাহাজটি নিয়ে রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের ডকইয়ার্ডে ভেড়ান। রাত ১ টার দিকে তারা যখন জাহাজটির ডেকের ওপরে ছিলেন তখন ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তাদের শরীরে মুহুর্তে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এরপর সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। পওে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এবিষয়ে ইছাপুরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ওই জাহাজের আগুন নেভায়। ঘটনার পর থেকে সাংহাই জাহাজের ম্যানেজার আকবর আলী পলাতক রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক (রূপগঞ্জ) মো. আলম জানান, তেলের ট্যাংকরের পাম্প হাউজে বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর ছড়িয়ে পড়ে পুরো জাহাজে। বিষয়টি তদন্তনাধীন। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।