ফতুল্লার শিয়াচরে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে মারধর করে মিরাজ নামে এক যুবককে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে হাসানগংদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে মিরাজের মা শাহিনুর বেগম ফতুল্লা মডেল থানায় হাসানগংদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, মিরাজ একজন অটো চালক। সে হাসানের বড়ভাইয়ের গ্যারেজে তার গাড়িটি রাখতো। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে আসার পর তাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর সুত্র ধরে রবিবার দুপুওে যাত্রী নিয়ে নতুন রামারবাগ ষ্টেডিয়াম থেকে শিয়ারচর তক্কারমাঠস্থ হালিম কাজির বাড়ির সামনে পৌছামাত্র দাপা ইদ্রাকপুর স্কুল সংলগ্ন এলাকার জামালের ছেলে হাসান,জসিমের ছেলে জয়,পিলকুনি জোড়মসজিদ এলাকার আফজালের ছেলে রনি,সেন্টুর ছেলে অন্তু,পিলকুনি ৫তলা এলাকার মুক্তির ছেলে নিলয়সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন মিলে লোহার রড,হকিষ্টিক,চাপাতি ও রামদা দিয়ে আমার ছেলের উপর হামলা চালায়।
এ অবস্থা দেখে ছেলের গাড়িতে থাকা যাত্রীরা দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে পড়ে। এ সময় ১নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্যোশে কোমড়ের কিডনি বরাবর স্বজোড়ে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে,৩নং বিবাদীর হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমার ছেলে মাথায় কোপ দিলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাম চোখের উপরে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। ৪নং বিবাদীর হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আমার ছেলে ডান পাশে স্তনে আঘাত করলে গুরুগর রক্তাক্ত জখম হয়।
৫নং বিবাদী আমার ছেলে পকেটে থাকা মিশুক চালিয়ে সারাদিনের আয় প্রায় ১২/১৩ শত টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার ছেলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা দ্রুত সটকে পড়ে এবং যাওয়ার পুর্বে বলে যে,এ বিষয়ে থানা পুলিশকে কিংবা আদালতৈ মামলা করলে আমার ছেলেকে প্রানে মেরে ফেলবে। পড়ে আশপাশের লোকজন আমার ছেলেতে খানপুর ৩০০ শষ্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা আমার ছেলের অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।