বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল করীম ( শায়েখের চরমোনাই) সহ নেতৃবৃন্দের উপর সন্ত্রাসী রর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ওমেরুদন্ডহীন সিইসি’র পদতেক দাবিতে –বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এর আয়োজনে প্রতিবাদ সসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার ( ১৬ জুন ) বাদ জুময়া ডিআইটি মাসজিদের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের যৌথ উদ্যোগে জেলা শাখার সংগ্রামী সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ দ্বীন ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুহতারাম প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতি আজ দিশেহারা। দেশে আজ আইনের শাসন নেই। দেশে আজ বাকশাল চলছে। এ যোন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনকেও হার মানালো। গত ১২ তারিখ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবুরির শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পরই তারা ভোট কেন্দ্র দখল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিজয়কে সিনিয়ে নেয়। শুধু তই নয়। বোট কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হৈচৈ শুরু করলে মুফতী ফয়জুল করীম সাহেব তাদের বুজাতে গেলে তারা তাকে রক্তাক্ত করে। যা জাতির জন্য খুবই দুঃখ জনক। তিনি অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীেদর গ্রেফতার করে শাস্তি আওতায় আনার অনুরোধ করেন।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা অথর্ব সিইসিকে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সেকি ইন্তেকাল করেছেন? সিইসির এমন উত্তরে স্পষ্ট হয়েছে যে সিইসি ফয়জুল করীমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ই নির্বাচন করছেন।তিনি সিইসির পদত্যাগ দাবীকরেন।
অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন বর্তমান সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে সম্পুর্ন ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সিটি নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায়না। তিনি বলেন সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্র দখল করে বিজয় ছিনিয়ে নেন।তিনি আওয়ামী লীগ স্বসম্মানে পদত্যাগ করে নির্বাচন দেয়ার আহবান জানান। তিনি সকল নেতা কর্মীদের সজাগ থাকার জোড় অনুরোধ জানান।
আরো উপস্থিত ছিলেন,জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলালা ফেরদাউসুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি হাফেজ আমিন উদ্দিন , মহানগর সহসভপতি নুর হোসেন, সুলতান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির, আলহাজ্ব আমান উল্লাহ, শ্রমিক আন্দোলন, যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন , শিক্ষক ফোরাম, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।