1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narayanaganj Press : Narayanaganj Press
সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
সদর উপজেলার ইউএনও পদোন্নতি, নতুন ইউএনও তাছলিমা শিরিন গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর ভাসুরের আত্মসমর্পণ কোন প্রভাবশালী পরিবার নয়, শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করেই ১৬ বছর নেতাকর্মীরা মাঠে ছিল : টিপু নতুন ভোটারদের সদস্য ফরম দিয়ে সুযোগ দিতে হবে – আশা সদর থানায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে জনি-রায়হান ও মাসুদের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ আড়াইহাজারে হত্যায় মামলা, গ্রেফতার হয়নি কেউ সংসদীয় আসন পুনর্বণ্টনের বিরোধিতা, জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি ‘বন্দরবাসী’র সেই রাজ্জাকের চাঁদাবাজির আরও টাকা উদ্ধার, মিলল নতুন আরেক বাড়ির সন্ধান সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা: দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সংবিধান সংশোধন জটিল করতে ‘পিআর পদ্ধতি’র অপচেষ্টা: সালাহউদ্দিন

কদম আলী ঘাটে বাড়তি টাকা আদায়ের প্রমাণ সহ দিতে পারেন এ ঘাট তার নামে দিয়ে দিব: হীরা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩
  • ৩৯৪ Time View

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের সুদৃষ্টি! ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা। আধুনিক যুগে এসে শুরু হচ্ছে মানুষের একের ওপরের প্রতি লোভ লালসা, হিংসা ও প্রতি সিহসার আক্রমণ। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কাশিপুর ইউনিয়নে চর কাশিপুর ও দেওয়ান বাড়ি সংযোগ সড়কে কদম আলী ঘাটের যাত্রী পারাপারের বাঁশের পোলকে নিয়ে। স্বার্থলোভী একটি চক্রের প্রতি হিংসার অভিযোগে উঠেছে চর কাশিপুর বাসীকে কদম আলী ঘাট পারাপারের জন্য গুনতে হয় ৬ টাকা, ১০ টাকা রাত হলে বাড়িয়ে ১৬ টাকা দিতে হয় ঐ এলাকার বাসিন্দাদের।

 

সরজমিনের এ প্রতিবেদক এর বাস্তবতা তুলে ধরেন, চর কাশিপুরে বাসীন্দা পারাপারের সময় শাহাজালাল, শাহিদা,লিমন, বয়স্ক হাতেম আলী, গরু খামারী সহ ঐ এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেন, আগে আগে নৌকায় পারাপার হতাম। বেশিরভাগ সময় নৌকার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো। বাঁশের সাঁকো দিয়ে এখন অল্প সময়তেই হেটে কর্মস্থলে বা বাড়িতে যেতে পাড়ি। দিনের বেলায় তিন টাকা, রাত আটটার পর ৫ টাকা করে দিতে হয়। নৌকার সময় ভাড়া ঠিক ছিল আর এখনকার সময় ভাড়া এখনও ঠিক রয়েছে। এতে ঘাটের বাড়তি ভাড়া হলো কি করে। অনেক সময় টাকা না দিয়েও চলে যাই এমনকি টাকা না থাকলেও চাওয়া হয় না। মালা মাল নিলে সেটা টাকা নেওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। নারায়ণগঞ্জে অন্যান্য যাত্রা পারাপারে সহ মালামাল আনানেওয়া করলে যে রকম জুলুমবাজি করা হয়! সে তুলনায় এখানে এ ধরনের কোন জুলুম হয়না।

 

মোদির দোকানদার আহাদ বলেন, এ ঘাট দিয়ে আমরা প্রতি নিয়তই পারাপার হই। এখানকার ইজারাদারের মানবিকতা রয়েছে অনেক প্রয় সময় টাকা না থাকলে চলে যাই। এর আগে একজন এসে মোবাইল দিয়ে আমার বক্তব্য নিয়ে গেছে। আমি দুষ্টামি করে অনেক কথা বলেছি। আমি বুজতে পারিনাই যে পত্রিকায় আসবে। কারন আর আগেও অনেক সাংবাদিক এসে বিরক্ত করত তাই তাদের সাথে মশকরা করেছি। এধরনের মশকারায় কারোর ক্ষতি হবে তা বুঝতে পারি নাই তাই সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

 

জুলেখা বলেন, আমার বাড়ি কাশিপুর দেওয়ান বাড়িতে। চর কাশিপুর আমার শ্বশুর বাড়ি। সে দিন আমরা তিন জন মহিলা মিলে শাক তুলতে গিয়েছিলাম। জন প্রতি ৩ টাকা হলে আসা -যাওয়ার ঘাট ভাড়া ৬ টাকা করে তিন জনের ১৮ টাকা। আমি হিসেবে ভুল করেছি। তারা বলেছিলেন টাকা না থাকলে বলেন তাই আমি উত্তেজিত হয়ে পড়ি। সেই সময় এক লোক মোবাইল দিয়ে বক্তব্য নেন। যেহেতুক আমার ভুলে এতো দূর চলেগেছে তাই সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

এছাড়াও মাদ্রাসা ও স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারের সময় সম্পন্ন ফ্রিতে যাতায়াত করতে দেখা যায়।

 

ঐ এলাকার স্থানীয় বাসীন্দা আঃ মান্না বলেন, কদম আলীর বাঁশের পোল দিয়ে পারাপর হয় সামান্য কিছুর বাড়ির লোক। হাতে গুনায় ২৫ / ৩০ টা বাড়ি রয়েছে এর মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ ঐ দিক দিয়ে অল্প সময়ে অটো রিক্সায় করে চলে যায়। অনেকেই টাকা না দিয়ে চলে যায়। এ ঘাট দিয়ে কোন প্রকার জোর জুলুম চলে না। যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা কথা।

 

কদম আলী ঘাটের ইজারাদার আলাউদ্দিন হীরা জানান, আমার অন্য ব্যবসা রয়েছে। এ ঘাট নিয়েছি মানব সেবার জন্য। এঘাটে প্রতি বছর ইজারা হয়। আমি পাঁচ বছর ধরে এই ঘাটের পরিচালনা করছি। এই পর্যন্ত এই সাঁকোটির বিষয়ে কোন বদনাম হয়নি। আপনারা দেখবেন এই সাঁকোর উপরে কোন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না এবং ইভটিজিং করতে দেই না। ইজারা নেওয়ার পর এ ঘাটের দেড়মাসও হয়নি শ্রমিক, বাঁশ ও কাঠে পূর্ণ মেরামত করতে সাড়ে চার লক্ষ টাকা খরচ গিয়েছে। কিছুদিন আগে এই বাঁশের পোল নিয়ে একটি প্রতিবেদন আসছে। যারা বক্তব্য দিয়েছে তারা নিজেরাও বুজতে পারে নাই তাই ভুল শিকার করেছে। পত্র-পত্রিকায় ১০-১৬ টাকা ভাড়া নেওয়ার কথা আসছে। গণমাধ্যম ভাইদের অনুরোধ করে বলবো আপনারা সঠিকটা তুলে ধরেন। কারো ঈর্ষান্বিত বসে অপরকে ক্ষতি করেন না। যদি এরকম বাড়তি টাকা আদায়ের প্রমাণ সহ দিতে পারেন তাহলে এ ঘাট তার নামে দিয়ে দিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব  নারায়ণগঞ্জ প্রেস কর্তৃক সংরক্ষিত
Designed by RIAZUL