জুম্মন সোহেলঃ দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অভিযোগের অবসান ঘটলো বন্দরবাসির। জনবান্ধব দানবীর নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপে বন্দর সেন্ট্রাল খেয়া ১-৩ ঘাটের মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ন ফ্রি করায় এমপি মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বন্দরবাসী।
এনিয়ে বন্দর ১ নং খেয়াঘাটে টোল বিহীন মালামাল পারাপারে সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি সাধারন মানুষ মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ কে এম সেলিম ওসমান কে সাধুবাদ জানিয়েছে।
বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ,বন্দর সেন্ট্রাল ট্রলার খেয়াঘাট সংলগ্ন দুটি মানুষের হাতে চালিত নৌকা পারাপারের ঘাট রয়েছে। এখানে সাধারণ মানুষ পারাপারের জন্য টোল ফ্রি থাকলেও ছিলনা বহন করা মালামালের জন্য ফ্রি। গুনতে হতো মোটা অংকের টাকা।টাকা না দিলে ঘাট কতৃপক্ষেরর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হতে হত প্রতিনিয়তই। এ যেন বন্দরবাসির নিত্যদিনের অভিশপ্ত জীবন যাপন। সে অভিশপ্ত জীবন যাপন থেকে
পূর্ব পাড়ের বন্দরবাসি এমপি সেলিম ওসমান এর হস্তক্ষেপে ও নেয়ামত স্বরূপ পেয়ে এমপি মহোদয়ের
প্রতি দোয়া ও ভালোবাসার যেন ঢল পড়েছে।
এমপি মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বন্দর বাসী আরোও জানান, মালামালের টোল যেন সব সময় ফ্রি থাকে সে দিকে এমপি মহোদয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। নয়তোবা লোক দেখানো টোল ফ্রি’র কোন প্রয়োজন নেই।
এই বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা যায়, বি আই ডব্লিউ কতৃক ইজারা নিয়ে টোল আদায় করা হয়। কিন্তু ইজারায় ১-৩ ঘাটের ইজারা থাকলেও ট্রলার খেয়াঘাট সংলগ্ন নৌকার খেয়াঘাটটি মুলতঃ ট্রলার খেয়াঘাট ইজারাদারদের সীমানায়। যেখানে কোন টোল আদায় করার কোন কথা নয়। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, বিগত সময়ে সকল ইজারাদারগন সেন্ট্রাল ট্রলার খেয়াঘাট ইজারাদারকে প্রতিদিন আর্থিক সুবিধা দিয়ে মেনেজ করে এই টোল আদায় করে আসছে।
এই বিষয় নিয়ে ভারপ্রাপ্ত ইজারাদার এইচ এম রাসেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমরা আগে তিন ঘাট থেকে টোল আদায় করলেও এখন শুধু বটতলা ও লঞ্চ ঘাট থেকে টোল আদায় করে থাকি। ট্রলার খেয়াঘাট সংলগ্ন খেয়াঘাট থেকে কোন টোল আদায় করি না। আগে টোল আদায় করলেও এখন কেন করছেননা প্রশ্ন করলে তিনি উপড়ের নির্দেশ আছে বলে নিজের দায় এড়িয়ে যান।
খেয়াঘাটে কর্মরত মাঝি ও লেবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যাক্তি বলেন, মুলত বন্দর বটতলা খেয়াঘাট ও লঞ্চঘাট বি আই ডব্লিউ কতৃক মালামালের ইজারা কৃত ঘাট। কিন্ত সেন্ট্রাল ট্রলার খেয়াঘাট ইজারাদারকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে তিনও ঘাট থেকে টোল আদায় করে আসছে। তবে তিন মাস যাবত দুটি ঘাটে টোল আদায় করা হচ্ছে।
এসময় এক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা জানান, স্বাধীনের পর থেকে এই পর্যন্ত একমাত্র এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমান সাহেবই টোল ফ্রি করেছেন। এই ঘাটে মালামালের টোল বন্ধ করায় আমরা খুব খুশি। এটা যেন অব্যাহত থাকে সেই অনুরোধ থাকবে এমপি মহোদয়ের কাছে।