কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি স্থগিত হলেও স্থগিতাদেশ মানা হচ্ছেনা৷ অভিযোগ উঠেছে টাকায় কেনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে কমিটির আহ্বায়ক সোহেল ও সদস্য সচিব রিদওয়ান সিকদার তারা দুজনই সংবর্ধনা ও আনন্দ মিছিল সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে বেড়াচ্ছে কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের স্বার্থলোভী দুই নামধারী নেতা৷
এনিয়ে ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিনের প্রতি কাশিপুর তৃণমূল যুবদলের নেতৃবৃন্দরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷
স্থগিতাদেশ না মেনে সোহেল ও রিদওয়ান কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের ভেতরে যে অপপ্রচার চালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তা ভবিষ্যতে আন্দোলন সংগ্রামে বিপদগ্রস্ত হবে বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন এবং এর দায় একমাত্র তাদেরই যারা বিতর্কিত লোক দিয়ে টাকার বিনিময় কাশিপু ইউনিয়ন যুবদল ঘোষণা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অনেকের ধারণা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এ অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন।
কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ অঘোষিত বিতর্কিত কমিটিকে যদি বহাল রাখা হয় তাহলে হাই কমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে এবং আন্দোলন-সংগ্রাম বাদ দিয়ে নিজ দলের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, বিতর্কিত সোহেল ও রিদওয়ান সিকদারের মত কর্মী-শূন্য লোকদের হাতে যদি কমিটি যায় তাহলে কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদল অভিভাবক শূন্য হয়ে মূল দল হতে নিরবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ভবিষ্যতে শহীদ শাওনের মত নিঃস্বার্থে আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার মত কর্মীবান্ধব নেতাকর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা বলা মুশকিল। তাই দল থেকে বিতর্কিত লোকদের পরিহার করে ত্যাগী তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ ও দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরোও জানান- নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির ঘনিষ্ঠ লোক সোহেল ও রিদওয়ান। তাই কমিটির বিনিময়ে রিদওয়ান সিকদার এর বাবা কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডালিম সিকদার মশিউর রহমান রনির বাড়িতে সিসি ক্যামেরা ও এয়ারকন্ডিশন (এসি) উপহার দিয়েছেন। কিছুদিন আগেও নিজ দলের জেলা যুবদলের এক ত্যাগী নেতাকে মারধর করেছে সোহেল।
ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি এ পর্যন্ত কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা নির্দেশ দিয়েছেন ঈদের পর দলকে সংগঠিত করতে। এদের মধ্যে যদি কেউ বিতর্কিত হয় এবং প্রমাণ যদি কেউ দেখাতে পারে তাহলে তাদের বাদ দিয়ে দিব। যেহেতু কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদল কমিটি স্থগিত করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে তারা উল্লাস করতে পারেনা, আমি তাদের জিজ্ঞাস করব।
প্রসঙ্গত কাশীপুর ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি স্থগিত৷
ঈদের চার দিন আগে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সোহেলকে আহ্বায়ক ও রিদওয়ান সিকদারকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি ঘোষণা করেছিল থানা যুবদল। কিন্তু কমিটি ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তা কেন্দ্রের নির্দেশে স্থগিত করতে বাধ্য হয় থানা কমিটি। এনিয়ে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবদলে শুরু হয়েছে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া। থানা যুবদলের নেতৃবৃন্দও কেন্দ্রের এমন অযাচিত হস্তক্ষেপে সন্তুষ্ঠ নয়। তাই ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে থানা যুবদলের এক নেতা জানান, বিতর্কিত যুবদল নেতা সোহেলকে আহ্বায়ক করায় নানা প্রশ্ন উঠেছিল।
যুবদলের মতো একটি সংগঠনের ইউনিয়ন কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত করায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল ত্যাগী যুবদল নেতাকর্মীরা। তাছাড়া সদস্য সচিব মনোনীত করা রিদওয়ান সিকদারের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডও তেমন শক্তিশালী নয়। তার বাবা কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং এই পদও অর্থের বিনিময়ে তিনি ক্রয় করেছিলেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।