বন্দরের চিতিহ্ন সন্ত্রাসী ও বহু অপকর্মের হোতা সাইফুল ইসলাম জুম্মান ওরফে পিস্তল জুম্মানের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে কল্যান্দী এলাকার শান্তি প্রিয় সাধারন জনগন। হত্যা, ধর্ষন, চাঁদাবাজী ও সম্পত্তী দখল থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা পিস্তল জুম্মান করেনি।
সম্প্রতি সময়ে র্যাব কর্তৃক পিস্তলসহ গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ দিন হাজতবাস খেটে জামিনে মুক্ত হয়ে উল্লেখিত এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে আসছে। এদিকে পিস্তুল জুম্মানের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে কল্যান্দী এলাকার ভূক্তভোগী আমান উল্ল্যাহ, মনির হোসেন প্রধান ও বাদশা মিয়া বাদী হয়ে বন্দর থানায় পৃথক ৩টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দী এলাকার মৃত আব্দুল গনি সরদারের ছেলে বাদশা মিয়ার সাথে একই এলাকার মৃত রাজা মিয়ার চিহিৃত সন্ত্রাসী ছেলে সাইফুল ইসলাম জুম্মান ওরফে পিস্তল জুম্মান ও তার ভাই সোহেল মিয়ার সাথে ভূক্তভোগী বাদশা মিয়ার ক্রয়কৃত ও পৈত্রিক সম্পত্তী নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার (৭ জুলাই) বেলা ১১টায় উল্লেখিত দুই ভাই আমার বসত বাড়ি দখলের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় নিরিহ বাদশা মিয়া প্রতিবাদ করলে ওই সময় পিস্তুল জুম্মান হত্যার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তির্ব্গদের জানিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছি।
এছাড়াও গত শুক্রবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টায় পিস্তুল জুম্মান ও তার ভাই সোহেলগং পৈত্রিক সম্পত্তী নিয়ে বিরোধের জের একই এলাকার নিরিহ আমানউল্ল্যাহ মিয়ার বসত বাড়ি দখলের চেষ্টা চালায়। বাড়ি দখল না পেয়ে সন্ত্রাসী পিস্তল জুম্মান ক্ষিপ্ত হয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা সঠিক সময়ে না পেলে সে আবারও আমানউল্ল্যাহ মিয়ার বসত বাড়ি দখলে নিবে বলে হুমকি দেয়।
এদিকে বন্দর থানার ২১নং ওয়ার্ডের সালেহনগর এলাকার মৃত ছগির আহম্মদ প্রদানের ছেলে মনির হোসেন র্দীঘ দিন ধরে কল্যান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে জিউধরা মোড় পর্যন্ত ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এ সুবাদে কল্যান্দী এলাকার মৃত রাজা মিয়ার ছেলে পিস্তুল জুম্মান ও তার ভাই সোহেল প্রায় সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারনেটের তার ও যন্ত্রংশ জোর পূর্বক নিয়ে যায়। আমি আমার জিনিসপত্র চাইলে পিস্তল জম্মান ইন্টারনেটের তার ও যন্ত্রাংশ না দিয়ে উল্টা হুমকি দামকি দেয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকায় বিচার চেয়ে বিচার পাইনি। এর ধারাবাহিকতায় গত ২ জুলাই রাতে প্রকাশ্যে ডিসের মূল্যবান মেশিনপত্র খুলে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, অভিযোগ গুলো তদন্ত করার পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পিস্তুল জুম্মানের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধসহ অভিযোগ গুলো সঠিক ভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বন্দর থানা ও র্যাব-১১ জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভ’ক্তভোগীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।