নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যকরী সদস্য আব্দুল করিম বাবু এর ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন ব্যাক্তি বিএনপিরর সহযোগী সংগঠক মহানগর যুবদলে সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য আক্তার অপু ওরফে আতুকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার ( ১১ জুলাই ) রাতে পাইকপাড়া জল্লারপাড় লেকে হইতে তাকে গ্রেফতার করে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
নিরাপত্তার সাথে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আতুকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর পরই কাউন্সিলর সাহেব ছাড়িয়ে নিতে আসে। এ সময়ে এসে শুনে আক্তার অপুকে পলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিশ্বস্ত লোক আতুকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলেন কাউন্সিলর বাবু।
১৭ নং ওয়ার্ডে একাধীক যুবলীগের নেতা জানান, আক্তার অপু ওরফে আতু জামায়েত – বিএনপির খাস কর্মী বলে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে একাধীক মামলা রয়েছে । এছাড়া বুধবার বিএনপি ডাকা মহা সমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রশাসন অক্রান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এমন সময় জামায়েত – বিএনপির কর্মীকে ছাড়িয়ে নিতে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতার ও কাউন্সিলর এমন কান্ডে আমরাও হতবাক হয়েছি। এটা খবুই লজ্জাজনক বিষয়। যেখানে আমাদের দেশের রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নতশীল রাষ্ট্রে তুলে ধরার ভিশনে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ আমাদের দেশে বড় বড় মেগা প্রজেক্টের কাজ সম্পর্ন করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছে। ঠিক সে সময় এমন এক ঘটনার শুনতে হবে তা আমরা কখনো আশা করিনি।
সদর মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত ) মো.সাইদুজ্জামান জানান পুলিশের উপর হামলা মামলায় আক্তার অপুকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে আমরা সাত দিনের রিমান্ড চাইব।
পরবর্তীতে বুধবার দুপুরে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন শর্থসাপেক্ষে তাকে মুছলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।