বন্দরে রাজিব হত্যায় জড়িত আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের সড়কে দাঁড়িয়ে তারা এ মানববন্ধন করেন। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল কাইতাখালী কবরস্থান রোড হয়ে নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড প্রদক্ষিণ করে। এতে কয়েক শত গ্রামবাসী অংশ নেন।
মানববন্ধনকারীরা রাজিব হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান। হত্যাকান্ডে জড়িত আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে রাজিবের মা জরিনা বেগম বলেন, আমি ২৪ বছর বিদেশ ছিলাম, ছেলেদের জন্য, ছেলে চলে গেছে এখন কী করমু। ছেলেতো আর আইবো না। মাইরে ফেলছে। আমি মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে আমার সন্তানের বিচার চাই।
রাজিবের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ‘আমার স্বামীকে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তিন জনকে ধরছে। কিন্তুু যারা প্রধান পরিকল্পনাকারী আসামি তাদের এখনো ধরতে পারে নাই। আমি সরকারের কাছে দাবী খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে দ্রুত ফাঁসির আওতায় আনা হোক।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির ২৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সিকদার সহ এলাকার কয়েক শত গ্রামবাসী।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ৬ জুলাই নবীগঞ্জস্থ কামাল উদ্দিনের মোড়ে বিচার সালিশি বৈঠকে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রাজিব (২০) খুন হয় হত্যাকান্ডের ঘটনার রাতেই বন্দর থানা পুলিশ থানার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় । নিহত রাজিব বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের কাইতাখালি এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে নিহত রাজিবের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৮/১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং- ৭(৭)২৩ ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল র্কোড -১৮৬০।