স্কুল ছাত্র সিয়ামকে তুলেনিয়ে বেধড়ক মারধর, আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
টিকটকার উর্মী নামের এক মেয়ে অনলাইন মাধ্যম ইমোতে ‘সিয়াম আহম্মেদ’ নামে ফেইক আইডি খুলে প্রেমিকের বন্ধুদের হুমকী ও গালমন্দ করায় প্রেমিক সাজিদ সহ ৪ জন মিলে ভোকেশনাল টেকনিকেল স্কুল থেকে সিয়াম (১৮) নামের এক ছাত্রকে অপহরণের পর টর্চার সেল নামক রবিনের ক্লাবে বেধড়ক মারধর করার পর হত্যার চেষ্টা চালায়৷ পরবর্তীতে স্বজনরা জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে ভুক্তভোগী ছাত্র মোঃ সিয়াম কে উদ্ধার করে পুলিশ।
ভোকেশনাল টেকনিকেল স্কুলের ৮শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্র সিয়াম ও পাঠানটুলি নতুন আইলপাড়া রফিক সাহেবের একই বাড়ীর ভাড়াটিয়া উর্মী।
৯৯৯ এ উদ্ধার হওয়া স্কুল ছাত্র সিয়াম’র বাবা শাহিন ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করেন, এম সার্কাস এলাকার আমান উল্লাহ’র ছেলে আরফান (২৫), জানে আলমের ছেলে মোঃ সাজিদ (২১), মোঃ বাবুল মিয়র ছেলে মোঃ সিয়াম (১৮) উভয় সাং পাঠানটুলি৷ পাঠানটুলি নতুন আইলপাড়া, রফিক সাহেবের বাড়ীর ভাড়াটিয়া উর্মি (১৮), হাজীগঞ্জ গোপটা জামান মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ দ্বীন ইসলাম (১৮)। আমার ছেলে মোঃ সিয়াম (১৮) পাঠানটুলি ভোকেশনাল টেকনিকেল স্কুলের ৮ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। ৪নং বিবাদী টিকটক করিয়া থাকে এবং আমার ছেলের নাম ব্যবহার করিয়া ইমু ফেইক আইডি খুলিয়া ৪নং বিবাদী ১ নং বিবাদীকে গালিগালাজ করে। এই আক্রোশে ইং ১২/০৭/২০২৩ তারিখে বেলা অনুমান ৪টার সময় আমার ছেলে স্কুল শেষে বাড়ী ফেরার পথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানটুলি ভোকেশনাল টেকনিকেল স্কুলের সামনে পাকা রাস্তায় পৌছাইলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত বিবাদীগন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বেআইনিভাবে জনতা বদ্ধে আমার ছেলের পথরোধ করিয়া আমার ছেলেকে জোর পূর্বক নীট কনসার্ন গার্মেন্টস এর পিছনে কো অপারেটিভ ক্লাবের পাশে একটি কক্ষে নিয়া আটক করিয়া লোহার রড, লাঠি ও এসএস পাইপ দিয়া বাইরাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। ১ নং বিবাদী আমার ছেলের ব্যবহৃত একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন যাহার মুল্য ১৮০০০/- টাকা জোর করিয়া নিয়া যায় উক্ত বিবাদী আমার ভাতিজা মোঃ রিফাত এর মোবাইল ফোনে ফোন করিয়া বিবাদীগন আমার ছেলেকে আটক করিয়া মারধর করিতেছে বলিয়া জানাইলে আমি সহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উক্তস্থান হইতে আমার ছেলেকে উদ্ধার করি। বিবাদীগন চলিয়া যাওয়ার সময় আমার ছেলেকে সুযোগমত পাইলে খুন করিয়া ফেলিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করিয়া পালাইয়া যায়। আমার ছেলেকে আহত অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসা করাই।
তিনি আরোও বলেন একি বাড়ির ভাড়াটিয়া উর্মী নামে এক মেয়ে আমার ছেলের নাম ব্যবহার করে ইমু ফেইক আইডি খুলে তার প্রেমিকের বন্ধুদের হুমকী ও গাল মন্দ করে। সাজিদের বন্ধু আরফান গত ৯ জুলাই আমার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে এটা কার ইমু,তোমার নামে কেন? ছেলে সিয়াম বলেছে আমার কোন মোবাইল নাই ইমু পাব কোথায়। উর্মী চালাতে পারে এ নামে তাকে জিজ্ঞাস করেন। তিনদিন পর উর্মীর প্রেমিক সহ বন্ধুদের নিয়ে আমার ছেলেকে স্কুলেরর সামনে থেকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তিনজন আসামিকে ধরেও ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আমরা বিচারহীনতায় ভুগছি। অভিযোগ তুলে নিতে বা মামলা করলে আমাদের জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দিচ্ছে আসামীরা এবং আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
অভিযোগ ও আসামি ছেরে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই হুমায়ন ২ জানান, এঘটনায় আমরা আদালতে পসেকিউশন পাঠাবো । আদালতে পসেকিউশন হলে আমরা ব্যবস্থা নিব এই বলে বিশেষ পেশার আসলাম নামে এক ব্যক্তিকে ফোন ধরিয়ে দেন।