আড়াইহাজারে পারিবারিক কলহে স্ত্রীকে হত্যার পর বাড়ির পাশে মাটিতে পুতে রাখার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড স্বামী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। হত্যাকান্ডের ৬/৭ দিন পর সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ মাটি খুড়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশ পাষন্ড স্বামী আশরাফ (৩৫) ও তার মা সেলিনাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বাসরোধ করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটায়।
নিহত মানসুরা (২৮) উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী আশরাফ (৩৫) উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রামের জুলহাসের ছেলে।
নিহতের মামা মোহাম্মদ আলী বলেন, তিন বছর আগে তাদের দুজনের বিয়ে হয়। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের সংসারে দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক কলহ চলছিল তাদের মধ্যে। এর আগে নিহত গৃহবধূ তাকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী শাশুড়ির বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছিলেন।
এদিকে নির্যাতন সইতে না পেলে বেশ কিছু দিন ধরে মানসুরা তার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি রামচন্দ্রীতেই বসবাস করছিল। গত ১০ জুলাই আদালত থেকে মামলার হাজিরা দিয়ে আসার পর তাকে মোবাইলে ডেকে নেয় তার স্বামী আশাবুল। এরপর থেকে সে আর বাড়িতে ফিরেনি।
পরে মানসুরার খোঁজখবর নিতে গেলে তার স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকে। এতে সন্দেহ হলে তারা আড়াইহাজার থানার পুলিশকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন।
পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করে এক পর্যায়ে স্বামী আশরাফ ও শাশুড়ি সেলিনাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যা ও হত্যার পর মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখার বিষয়টি স্বীকার করে।
পরে পুলিশ নিহতের শ্বশুরবাড়ির পাশে ঝোপের মতো নির্জন একটি স্থান থেকে মাটি খুড়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক তৈয়ব এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান উদ্ধার হওয়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।