বন্দরে শাহীমসজিদ বউবাজার ইজারাদার রিয়াদ ও রাজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার ৯দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ মামলায় প্রধান আসামি সোহাগসহ ৭জন ও আরো অজ্ঞাত ৭/৮জনের বিরোদ্ধে মামলা হলেও আহত রিয়াদের মা বাদিনী রিনা বেগমকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে আসামিরা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নিরাপত্তাহীণতায় রয়েছেন এবং পুলিশের সাথে আসামিদের সখ্যতা থাকার কারনে গ্রেফতার হচ্ছেনা বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো জানান,গত ৯জুলাই রাতে আমার ছেলেকে একা পেয়ে সন্ত্রাসী সোহাগ ও টেটনা মানুর নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। আমি থানায় হামলাকারীদের বিরোদ্ধে মামলা করেছি। আজ ৯দিন হয়ে গেল অথচ পুলিশ একজন আসামীকেও গ্রেফতার করতে পারে নাই। আসামীরা এক ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী নেতার শেল্টারে থাকার কারনে পুলিশ তাদের ধরছেনা। আসামীরা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেরাচ্ছে এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে বেরাচ্ছে। আমি একাধিকবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম পাটোয়ারীকে জানিয়ে কোন লাভ হয় নাই। আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীণতায় ভূগছি তাই আমি সাধারন মানুষের শেষ ভরসাস্থল সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করছি।
উল্লেখ্য,বন্দর শাহীমসজিদ বউবাজার ইজারাদার মোঃ রিয়াদ বন্দর থানাধীণ ২১নং ওয়ার্ডস্থ শাহীমসজিদ বউবাজারের ইজারার ডাক নেয়। এ নিয়ে বিবাদীদের সাথে রিয়াদের পুরোনো দ্বন্দ রয়েছে। এরই জের ধরে গত রোববার রাতে বন্দর বাসস্ট্যান্ড এলাকার নিলা জুয়েলার্সের সামনে রিয়াদ ও তার বন্ধু রাজনকে একা পেয়ে বিবাদীরা অস্ত্রসস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ও হুমকি দেয়। রিয়াদ প্রতিবাদ করিলে বিবাদীরা প্রথমে লোহার পাইপ দিয়ে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী সোহাগ তার হাতে থাকা ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে রিয়াদকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপ দিয়ে মারাত্নক জখম করে। অন্যান্য বিবাদীদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে কুপাতে থাকলে রিয়াদের বন্ধু রাজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকেও কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিয়াদকে ভর্তি করা হয় ও তার বন্ধু রাজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আহত রিয়াদের মা রিনা বেগম বাদী হয়ে গত ৯জুলাই আসামী সোহাগসহ ৭জন ও আরো ৭/৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৯(০৭)২৩ইং।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম পাটোয়ারী বলেন, বাদী একাধিকবার আমাকে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু আমি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারিনি। আসামীরা পলাতক রয়েছে। তবে আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।