বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই পথযাত্রার একটি লক্ষ্য সেটি হল অবৈধ শেখ হাসিনা পদত্যাগ। পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়া। নির্বাচন কমিশন পূর্ণগঠনের পরিবেশ তৈরি করা। এর আগে এই আন্দোলন বন্ধ হবে না। সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ১দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহানগর বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল তিনটায় নগরীর খানপুর হাসপাতাল রোড থেকে এই পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেন মহানগর বিএনপি।
তিনি বলেন, দাবি একটা দফাও একটা। শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সংকট হচ্ছে এই সরকার যেকোনো মুহূর্তে পদত্যাগ করবে। সংকট সমাধানের একটি পথ আসবে। সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ দাবী শুধু বিএনপির না দেশের ৩৯ টি রাজনৈতিক দলের দাবি করছে। বাংলাদেশে দাবি না, সারা বিশ্ব আমেরিকার থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল দেশগুলো যারা আমাদের সহযোগিতা করে তারা সকলেই বলছে আর ভোট চুরি করা যাবে না। সরকারের মাথা গরম হয়ে গেছে।
এ পার্শ্ববর্তী দেশ যারা একসময় মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদেরকে সহযোগিতা করেছিল ১৪ও ১৮ সালের পরে তারা বুঝেছে তারা একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আজকে সে দেশও চুপ হয়ে গেছে।
এ আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য যারা চুরি করে এমপি হয়েছে, সরকার গঠন করেছে। ওই ভোট চোরদেরকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করা। যারা রাষ্ট্রের টাকা চুরি করেছে। ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করে ধ্বংসের আওতায় এনে ফেলেছে। এই অর্থ ও টাকা চোরদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি কখনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। ২৫টা সিটে তিনি নির্বাচন করেছিলেন ২৫সিটে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তাকে একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় তথাকথিত বিচারের নামে সাজা দিয়ে দিয়েছে। পাঁচটা বছর যাবত তাকে জেলখানা আটক করে রাখা হয়েছে। এই আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। এ আন্দোলন আরেকটি লক্ষ্য হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান। তিনি কোন অন্যায় করেনি তিনি কোন এমপিও ছিলেন না। শুধুমাত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ায় তাকে আপনি মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশান্তর করে রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
শামসুজ্জামান দুদু সম্প্রীতি মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীবের ছাত্রলীগের উপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে বলে, তারা আমাদের ছাত্রদল নেতার উপর হামলা করে অথচ পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। আপনারা রাজীবকে নৃশংস ভাবে মারছেন। আগে ও অনেক নেতৃবৃন্দকে আপনারা মারছেন। বহু নেতা কর্মীদেরকে আপনারা খুন করেছেন পিটিয়ে আহত করেছেন।
তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে বলবো আগে যাই করেছেন এখন অন্তত আইনের শাসনের জন্য সহযোগিতা করুন। প্রশাসনকে বলব অনেক হয়েছে এখন একটু মানবিক হন। এবার একটি সঠিক ভোটার অধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য আন্দোলন হচ্ছে সেটার বিরুদ্ধে আপনারা যেয়েন না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যে আন্দোলন হচ্ছে তা শেষ হবে অবৈধ সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে। তার আগে কোন মীমাংসা হবে সেটা বিএনপি বিশ্বাস করে না। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে সরকারকে বলবো উস্কানি দিবেন না। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সাথে আসুন রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শতবিবের সৃষ্টি করার শত চক্রান্ত হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদেরকে চূড়ান্ত বিজয়ের পৌঁছাতে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
পদযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, শওকত হাসেম শকু, মাহমুদুর রহমান, রাশিদা জামাল, হাবিবুর রহমান দুলাল, বরকত উল্লাহ, শাখায়াত ইসলাম রানা, শাহিন আহমেদ, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।