নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ৬নং ওয়ার্ডের এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে ও ডেঙ্গু মোকাবেলায় আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখতে জনসচেতনতায় মাঠে নেমেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি।
২৫ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল থেকে কাউন্সিলর মতির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আদমজী বিহারী ক্যাম্পে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান আদমজী বিহারী ক্যাম্প থেকে শুরু হয়ে পুরো ৬নং ওয়ার্ড প্রদক্ষিণ করে এবং অভিযানে রাস্তার আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার এবং বাড়ির আশপাশের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল কেটে ফেলা হয়। চলমান এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি ওয়ার্ডবাসীদের সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন কাউন্সিলর আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি।
আদমজী বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দা ভোলা মেম্বার বলেন, দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়ার খবর শোনামাত্রই আমাদের কাউন্সিলর মতি ভাই লোকজন দিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে মশা নিধনের ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো শুরু করেছেন। এলাকার পুকুরের আশপাশ পরিষ্কার, ড্রেন পরিষ্কার, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারসহ আগাছা গাছপালা পরিষ্কারের জন্য বিহারি ক্যাম্পে লোক নিযুক্ত করে দিয়েছেন।
এছাড়া ক্যাম্পের এলাকার লোকজনকে ডেঙ্গু মোকাবেলায় সচেতন করার লক্ষ্যে বেশকয়েকবার আমাদেরকে নিয়ে আলোচনা সভা করে তিনি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
জনসাধারণের ডেঙ্গু রোগ থেকে রক্ষার জন্যে কাউন্সিলর আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি তার নেয়া উদ্যোগের বিষয়ে জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য ইতিমধ্যে আমার ওয়ার্ডে প্রতিদিন মশার স্প্রে দেওয়া শুরু করেছি। সকালে ও বিকেলে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
আমি মনেকরি প্রত্যেকে নিজ বাড়ি বা বাসার আশপাশে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ মিনিট পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালালেই ডেঙ্গুর প্রজনন বন্ধ করা সম্ভব। প্রথম থেকেই এলাকাবাসীকে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি।
ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমা পর্যন্ত আমার এই কাজ অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমাদের এখানকার যতগুলো মসজিদ রয়েছে সেগুলোতে (শুক্রবার) জ্ম্মুার পর ডেঙ্গুর বিষয়ে ইমাম সাহেবরা যেনো জনগণকে সচেতন করেন সে আহ্বান জানাবো।
তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে আদমজী এলাকার বড় খালটিতে কচুরিপানায় ভরে আছে।এটার জন্যে ডেঙ্গু মশা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যদি পানি নিষ্কাশন করে তো করলোই না হয় আমি নিজ উদ্যোগে দ্রুত করে দিবো।