বন্দরে স্বামীর দেওয়া আগুনের দগ্ধ গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার (১৮) ৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে মারা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ওই গৃহবধূ মৃত্যু বরণ করে।
এ ঘটনায় পুলিশ গত সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে যৌতুক লোভী স্বামী শাওন (২৯) মা সেলিনা বেগম (৪৫) ও লাখি (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতে বন্দর উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় এ অগ্নিদগ্ধ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে নিহতের মা মাহামুদা বেগম বাদী হয়ে গত সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং- ২৩(৭)২৩। নিহত অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার বন্দর থানার দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার জয়নাল উদ্দিনের মেয়ে।
মাহমুদা বেগম জানান, ১০ মাস আগে মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে বন্দর উপজেলার তিনগাও এলাকার সেলিনা বেগমের ছেলে শাওনের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা যৌতুকে জন্য সুমাইয়া আক্তারকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করছে।
সুমাইয়া যৌতুকের বিষয়টি তাকে জানায়। মেয়েরে সুখের কথা চিন্তা করে তিনি সুমাইয়ার স্বামীকে নগদ এক লাখ টাকা দেন। শাওন পুনরায় মেয়ের কাছে আরো ২ লাখ টাকা দাবি করে। দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে শাওন ও লাকি মেয়েকে মারধর করে।
এক পর্যায়ে শাওন মেয়ের দেহে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় মেয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকি]সাধিন অবস্থায় সকালে মারা যায় সুমাইয়া।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার সকল আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।