শহরের জিমখানা এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করার কথা প্রশাসনকে বলে দেওয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত রাকিবুল হাসান অঞ্জনের বাবা আবুল কালামকে মামলা তুলে নিতে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে জিমখানার মাদকের ডন ভুয়া সংবাদ কর্মী পরিচয়দানকী রাকিবুল হাসান মিঠু ও মাদক ব্যবসায়ী সবুজ গংরা।
এদিকে ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে নিজ বাড়ী জিমখানায় এসেও আতংকে দিন কাটাচ্ছে আহত অঞ্জনের পরিবার।অন্য দিকে তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকী দিচ্ছে জিমখানার মাদক ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, জিমখানায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসার কথা প্রশাসনকে স্থানীয় এলাকাবাসী হিসেবে কিছু দিন আগে জানিয়েদেন অঞ্জন আর এর রেশ ধরে গত শুক্রবার রাত ১১ টায় সময় অঞ্জন বাসায় যাওয়ার সময় তার পথ গতিরোধ করে দেশী দা, কুড়াল ক্রিজ্র, চাক্কু দিয়ে অঞ্জনকে কুপিয়ে মারাক্তক আহত করে জিমখানা এলাকার নারায়ণ ওরফে আলমগীরের পুত্র ভুয়া সংবাদ কর্মী পরিচয় দানকারী মিঠু ও নাজিরের ছেলে সবুজ বাহিনীর, পঁচা মিয়ার ছেলে সেলিম ও সবুজের মামাত ভাই শুভসহ অনন্যা মাদক ব্যবসায়ীরা অঞ্জন এর ঘাড়ে পিঠে ও মাথায় আঘাত করে অঞ্জনকে চির তরে দুনিয়া থেকে বিদাই করে দিতে চেয়ে ছিল মাদক ব্যবসায়ীরা এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে রক্তাত ও গুরুতর আহত করে চলে যায় জিমখানার স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মিঠু ও সবুজ।
এ বিষয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছে অঞ্জনের বাবা যার নং-৯৭/২০২৩। সদর থানার পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী মিঠু ও সবুজ এর সগযোগী পাইকপাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে মামলার আসামী বাপ্পিকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে আহত অঞ্জন জানান,গত ১১ জুলাই আমি বাসায় যাওয়ার সময় জিমখানা এলাকার নারায়ণ ওরফে আলমগীরের পুত্র ভুয়া সংবাদ কর্মী পরিচয় দানকারী মিঠু ও নাজিরের ছেলে সবুজ বাহিনীর, পঁচা মিয়ার ছেলে সেলিম ও সবুজের মামাত ভাই শুভসহ অনন্যা মাদক ব্যবসায়ীরা আমার উপর হামলা চালায় আল্লাহর রহমতে এবয় আমার বাবা-মার দোয় আমি বেচেঁ আছি তার পরও ভুয়া সাংবাদিক মিঠু তার অনিবন্ধনকৃত অনলাইনে নিজেকে বাচাঁতে মামলার তদন্তকারী ভাল একজন অফিসারকে আজেবাজে লেখালেখি করছে যাতে মামলার মোড় অন্য দিকে নিতে পারে আমি আহত রাকিবুল হাসান অঞ্জন মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এর কাছে বিনীত ভাবে বলছি আপনারা ভাল ভাবে তদন্ত করে দেখবেন জিমখানায় কার সেল্টারে টিটু ও মিঠুর মা হাসিনা ওরফে হাসিও জিমখানা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে এবং যারা মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষ নিচ্ছে আমি তাদেরও বিচার দাবী করছি।উল্লেখঃ জিমখানা এলাকার নারায়ণ ওরফে আলমগীরের পুত্র মিঠু ও টিটু পাইকপাড়া ছোট কবরস্থান এলাকার আব্দুল হাদিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
এলাকা সূত্র জানাগেছে, মিঠু ও টিটু দীর্ঘদিন ধরে জিমখানা এলাকায় অসহায় ও গরীব মানুষদের দিয়ে মাদক ব্যবসা করে আসছে।টিটু বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকের সাতটি মামলা রয়েছে ও মিঠুর বিরুদ্ধে মাদকসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।টিটু টেকনাফ থেকে সরাসরি ইয়াবা এনে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে। টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকা প্রবেশ কালে ঢাকা ডিবির হাতে ২৬ হাজার পিছ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। সর্বশেষ গত বছরের ৬ জুলাই ৫৮০ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল পাকনা ওরফে ইয়াবা টিটু। এরপর থেকেই বিভিন্ন কৌশলে অবলম্বন করে মাদক ব্যবসা করে আসছে মিঠু ও টিটু। টিটু ও মিঠুর মা হাসিনা ওরফে হাসিও জিমখানা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। বিভিন্ন সময় মাদকসহ হাসি গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে প্রভাবশালীদের শেল্টারে মাদক ব্যবসা করে আসছে।