বিএনপির অর্থ ও জনবলের যোগান দাতা বিএনপি নেতা, ধর্ষণ চেষ্টার মামলা ও বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলার আসামিদের নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের অনুষ্ঠিত মিছিল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়, চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালচনা। ফুঁসে উঠেছে দলের ত্যাগী ও তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।
তাদের অভিযোগ দলের ত্যাগী ও তৃনমূলের নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ণ করে ব্যক্তি স্বার্থে বিএনপি নেতা নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নুরু উদ্দিন মিয়া, পুত্র বধুকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগের মামলার আসামি কামাল ওরফে গ্যাস কামাল ও বিভিন্ন অপরাধে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ফারুক ওরফে চিকনা ফারুকদের মূল্যায়ন করছেন নেতাকর্মীরা। এমনকি এদেরকে আবার মিছিলের সম্মুখভাবে নেতাকর্মীদের সাথে অবস্থান করতে দেখা যায়।
গত শনিবার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনার পরে ফাকা মাঠে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনেকেই আবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে দ্বিখন্ডিত ও বিতর্কিত করতে, নেতাকর্মীদের মাঠ ছাড়া করার জন্যই এ ধরনের হাইব্রিড, ধর্ষণ চেষ্টা, হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলার আসামিদের মিছিলের সম্মুখভাবে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, নূর উদ্দিন দীর্ঘদিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।পরবর্তীতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্মা-আহ্বায়ক হয়ে আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনে শতশত ক্যাডার নিয়ে যোগদান করেন নুর উদ্দিন। সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র, নাশকতা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামী নুর উদ্দিন। অপরদিকে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচী সফল করতে অর্থ ও জনবলের যোগান দিয়ে থাকেন বলে বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়। এছাড়া কাউন্সিলর নুর উদ্দিন হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। এসব মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
এদিকে কামাল হোসেন খন্দকার ওরফে গ্যাস কামালের বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২০২২, সালের ৯ এপ্রিল রাত ১২ টায় পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত জামিল গ্যাস কামালকে আটক করেন। পরে ১০ এপ্রিল ভুক্তভোগী পুত্রবধূর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত শ্বশুর কামাল হোসেন খন্দকার ওরফে গ্যাস কামালকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। জেল খেটে পরে জামিনে আসেন।
এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বোর্ডে কিশোরগ্যাং বাহিনীর লিডার, মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দাতা, হামলা, ভাংচুর, চাঁদাবাজী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও হত্যা, ডাকাতি মামলাসহ একাধিক মামলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত আসামি টাইগার ফারুক ওরফে চিকনা ফারুক। এসব মামালায় জেল খেটে পরে জামিনে আসেন।
রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের এরূপ কর্মকান্ডে দলের ভাবমুর্তী প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে। আস্থা হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছে তৃনমূল। অচিরেই এসব কর্মকান্ড নিয়ে দলীয় হাই কামন্ডের হস্তক্ষেপ জরুরী।
এ বিষয়ে কথা বলতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।