গত ২৮ জুলাই রাজধানীর গুলিস্তানে সেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশে দলীয় আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার জালালাইন জামাতের ছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমকে ছুরিকাহত করে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখা।
ইসলামী ছাত্র মজলিসের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদের সভাপতিত্বে সোমবার ৩১ জুলাই বাদ আছর ডিআইটি মসজিদের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ। মহানগর সেক্রেটারি মুহাম্মাদ নেওয়াজের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ, মহানগর শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্বাস সিকদার, ছাত্র মজলিসের মহানগর বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ আবু সাঈদ, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ আনাস, ক্বারী উবাইদুল্লাহ, হাফেজ শরীফুল ইসলাম, প্রমুখ।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, হাফেজ রেজাউল করিম জামেয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার ছাত্র। পারিবারিক সূত্রে জেনেছি সে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা বা কর্মী ছিল না। নিজেদের দলীয় কোন্দলের বলির পাঠা বানানো হলো নিরীহ এই শিক্ষার্থীকে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলা এদেশের ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।
অনতিবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে ভিন্ন মতের মানুষদের ওপর নির্যাতন ও হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে পাশাপাশি ইদানীং ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের দ্বারা সাধারণ ও প্রান্তিক মানুষ নির্যাতিত হচ্ছেন। এসব বর্বর হামলার ঘটনায় আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থার ভেতরে যে ক্ষতগুলো সৃষ্টি হয়েছে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বলে আমরা মনে করি।
এই ক্ষত নিরাময়ের জন্য ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি। উল্লেখ্য, তার গ্রামের বাড়ী শেরপুর জেলায়। ঘটনার দিন এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তিনি নিহত হন।