ফতুল্লার পাগলায় একটি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দিয়ে অন্যের বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
এসময় জমিতে সাইন বোর্ড লাগাতে বাধা দেয়ায় একজন পুলিশ অফিসারকেও শিক্ষার্থীদের দিয়ে লাঞ্চিত করা হয়।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লার পাগলা এলাকায় পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে এঘটনা ঘটি। এনিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে সেন্টু ডাক্তার ও ডিএমপির পুলিশ অফিসার এসআই এমদাদ হোসেনের পৃথক দুটি জমি রয়েছে। তাদের মধ্যে চার দিকে পাঁচ ফুট উচু দেয়াল করা সেন্টু ডাক্তারের এক তলা একটি বাসা এবং তার সামনে এসআই এমদাদ হোসেনের চার দিকে দেয়াল করা ৪শতাংশ একটি জমি রয়েছে। তাদের দুটি জমির বিষয়ে আদালতে পৃথক মামলাও রয়েছে। এরমধ্যে বুধবার দুপুরে পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সেন্টু ডাক্তারের বাড়ির পাঁচ ফুট উচু দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। এরপর এসআই এমদাদের জমিতে “এই জমির মালিক পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়” লেখা একটি সাইন বোর্ড লাগাতে যায়। এসময় পুলিশের পোষাক পড়া অবস্থায় এসআই এমদাদ এসে সাইন বোর্ড লাগাতে বাধা দেয়। তখন প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দিলে এসআই এমদাদকে টানা হেচরা করে নাজেহাল করে শিক্ষার্থীরা। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ এসে এসআই এমদাদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এঘটনায় প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ভবন বৃদ্ধির জন্য জমিটি স্কুলের নামে ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এসআই এমদাদ এসে আমাদের স্কুলের পক্ষ থেকে জমিতে লাগানো সাইনবোড ফেলে দেয়। তখন শিক্ষার্থীরা গিয়ে প্রতিবাদ করেছে। এসময় কার কি ভেঙ্গেছে তা আমার জানা নেই।
সেন্টু ডাক্তার বলেন, আমার বাড়ির চার পাশে পাঁচ ফুট উচ্চতা অন্তত ৪০ ফুট লাম্বা দেয়ালটি প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা এসে ভেঙ্গে ফেলেছে। তখন শিক্ষার্থীরা আমার বাসার ভিতরে প্রবেশ করে ভাংচুরের চেষ্টা করে। এসময় এলাকার লোকজন নিয়ে বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা চলে যায়।
এসআই এমদাদ বলেন, তিনি ডিএমপি পুলিশে দায়ীত্ব পালন করেন। বিশেষ একটি কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে জমিতে দেয়াল ভাঙ্গতে দেখে সেখানে নামেন। এসময় জমির সামনে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ শতশত শিক্ষার্থীদের দেখে কাছে গিয়ে দেখেন তার জমিতে সাইন বোর্ড লাগাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তখন বাধা দিলে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা তাকে টানা হেচরা করে লাঞ্চিত করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম জানান, এসআই এমদাদকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।