নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে “টপ সিক্রেট” বিষয় নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শাখা ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ ও ঢাকা মাহবুবুর রহমান মোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায় নারী সংঘঠিত বিষয় নিয়ে দু পক্ষের মধ্যেই এই মারধরের ঘটনা।
বৃহস্পতিবার ৩ই আগস্ট দুপুর আড়াইটার সময় চাষাড়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মীনারে দুই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আচমকা সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েন।
ওই স্থানে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এ সংঘর্ষের পূর্বে শহীদ মীনারের পশ্চিমে পকেট গেইট সংলগ্নে একদল ঢাকা মাহবুবুর রহমান মোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় ধরে আড্ডা দিচ্ছিল, হঠাৎ ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের ২/৩ শিক্ষার্থী আসলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্ররা ক্যামব্রিয়ানের ছাত্রদের উপর চড়াও হয়ে মারধর খেয়ে পালিয়ে যায়।
মারধরের এই ঘটনায় ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে শহীদ মীনারে এসে সংঘর্ষে জড়িয়েপড়ে এবং মাহবুবুর রহমান মোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের বেশ কয়েক শিক্ষার্থী আহত হয়। ঘটনাটি দফায় দফায় ঘটে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরোও জানান, অনেক শিক্ষার্থীদের কাছে সুইচ গিয়ার চাকু সহ নানা ধরনের স্টিলের রড বের করতে দেখা যায়। এক শিক্ষার্থীকে সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে আঘাত করার সময় সিএনজি ড্রাইভারসহ পথচারীরা তা ধরে ফেলে। এ সময় উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীরা আহত হন।
এ ঘটনার পড়ে সুশীল সমাজের অনেকেই মন্তব্য করে বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ধরনের ঘটনা খুবই ন্যাক্কারজনক এবং দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত এখানে ঘটে চলছে। এখানে কি না ঘটে!প্রশাসন তা জানেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসন এর একটা সুব্যবস্থা নিলে শহীদ মিনারের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারবে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক মাহবুবুর রহমান মোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের কয়েক শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক দিন আগে কলেজ রুটে আমাদের মারধর করেছে তাই এঘটনা ঘটে। আরেক শিক্ষার্থী জানান, “টপ সিক্রেট” বলা যাবেনা।
পরে এক শিক্ষার্থীকে সংবাদকর্মীরা জিজ্ঞাস করলে সে জানান এক মেয়ে নিয়ে জগড়া এটুকু বলে সে ছাত্র চলে যান।