সিদ্ধিরগঞ্জের চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও একাধিক মামলার আসামি চাঁদাবাজ রনি প্রধান (৩২) কে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় একটি চাঁদাবাজির মামলায় আদমজী কদমতলী এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
এরআগে গত ২ আগষ্ট শাহাদাৎ হোসেন জয় নামে এক ব্যবসায়ী ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭ ধেকে ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলো- কদমতলী এলাকার আজিজ প্রধানের ছেলে নুরুল প্রধান (৪০), হায়দারের ছেলে সাকিব (২৫), শাহ আলমের ছেলে লোকমান ওরেফে নয়ন (২৫), হোসেন (২৩), বাচ্চু মিয়ার ছেলে হালিম (২০), নাছিরের ছেলে ইয়াসিন (১৯)। এই মামলায় রনি প্রধান গ্রেপ্তার হলেও পলাতক রয়েছে তার ভাই নুরুল প্রধানসহ আরও ৬ জন।
মামলায় বাদি শাহাদাৎ হোসেন জয় উল্লেখ করেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ আদমজী ইপিজেড এ বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা করে আসছি। ইপিজেড এ ব্যবসা করার কারণে নুরুল প্রধান ও রনি প্রধান আমার নিকট দীর্ঘ দিন যাবৎ ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অভিযুক্তদেও সাথে আমার বিরোধ সৃষ্টি হয়।
গত (২৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে আমি ও আমার বন্ধু অনিকসহ আদমজী ইপিজেড হইতে বাসায় যাওয়ার পথে আদমজী কদমতলী কলেজ পাড়া মাহাবুবের বাড়ীর সামনের রাস্তায় পৌঁছা মাত্রই এর জের ধরে নুরুল প্রধান ও রনি প্রধান তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার রড ও তাদের কাছে থাকা সুইচ গিয়ার দিয়ে হামলা করে।
আমার পেন্টের পকেটে থাকা ব্যবসার ৫২ হাজার নগদ টাকা একটি স্যামসাং মোবাইল নিয়ে যায়। এতে আমিসহ আমার বন্ধু অনিক গুরুতর আহত হই। আমাদের আর্তচিৎকারে আশে পাশের লোক জন ছুটে এসে আমাদেরােরক উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খাঁনপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এলাকাবাসি জানায়, নুরুল প্রধান ও তার ভাই রনি প্রধান দীর্ঘদিন দরে কদমতলী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে তুলেছে। তাদের সন্ত্রাষী কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকার সাধরণ মানুষ। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ ইভটিজিং এর অভিযোগ রয়েছে।
ওই এলাকার সুমন নামে এক ব্যক্তি বলেন, নুরুল ও তার ভাই রনি এলাকায় ডিশ ও ইন্টানেটের ব্যবসার আড়ালে মাদক সেবন থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ কর্মকান্ড নেই যে তারা করে না। তাদের ভয়ে এলাকার সাধাপরণ মানুষ মূখ খোলার সাহস পায়না এখানকার বেশীর ভাগ মানুষ গার্মেন্টস কর্মী তারাও নিরপত্তাহীনতায় থাকে। কারন তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে অনেকেই লাঞ্ছিত হয়েছে কিছু দিন পর পর এলাকায় এই ডিস ও নেট ব্যবসা নিয়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চাঁদাবাজির মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও সে গ্রেপ্তার হয়েছিলো। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।