মদ্যপ অবস্থায় ট্রাফিক সিগনাল অমান্য করে যাত্রী সহ রিক্সা ওয়ালাকে এক্সিডেন্ট করে ট্রাফিক পুলিশকে উল্টা হুমকী! আমি হোন্ডা বাহিনীর লোক!জানেননা আমি ভাইজানের লোক এই গাড়ি আটকানোর কোন ক্ষমতা নাই! আপনি জানেন এই গাড়ি আটকালে নারায়ণগঞ্জ শহর অচল হয়ে লযাবে এমনটাই ট্রাফিক পুলিশকে হুমকী দিয়েছেন বন্দরের জি এম জিমেল।
বুধবার ৯ই আগস্ট সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ ২ নং রেল গেইট ট্রাফিক সিগনালে এঘটনা ঘটে।
জানা যায় বন্দর ২৪ নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ রওশন বাগ এলাকার বাসীন্দা মরহুম গিয়াসউদ্দিন হীরা মিয়ার বড় ছেলে জি এম হিমেল। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর লোক বলে পরিচিত তিনি।
ট্রাফিকের দায়িত্বরত টিএসআই দেলোয়ার জানান, আমরা ট্রাফিক সিগনাল দিয়েছি। হঠাৎ সোনারবাংলা মার্কেটের সড়ক থেকে উল্টো পথে আসা মদ্যপায়ী ব্যক্তি জিএম হিমেল নামের এই লোকটি মোটরসাইকেলকে লাফাইতে লাফাইতে জোড়ে রিক্সাকে ধাক্কা দিয়ে রিক্সাসহ যাত্রীকে ফেলে দেয়। বিষয়টি আমার নজরে এলে আমার সহকর্মীকে নির্দেশ দেই গাড়িটি আটকানোর। তাকে সম্মানের সহিত বলি গাড়িটা সাইড করেন ভাই এভাবে গাড়ি চালিয়ে গেলে অন্যকে সহ আপনিও দুর্ঘটনার কবলে পড়বেন। ঐ সময় রিক্সায় একজন মহিলা সহ ২ বছরে শিশু বাচ্চা ছিল।
তিনি আরোও বলেন, যেই তাকে বলেছি গাড়ি সাইড করেন তাতেই এ লোকটা ক্ষেপে গিয়ে বলেন কার গাড়ি জানেন! হাজী সাবের গাড়ি। হোন্ডাবাহীনীর গাড়ি! এ গাড়ি আটকালে এই শহরে আগুন জ্বলবে কিয়ামত হয়ে যাবে । আপনার ক্ষমতা নেই এই গাড়ি আটকানোর। এসময় মদ্যপ অবস্থায় আমার সাথে উচ্চ স্বরে হুমকী ও হাতাহাতি পর্যায় চলে যায়। এমন অবস্থা দেখে সদর থানায় কল করি। আমি তাকে হাজী সাহেবকে ফোন কল দিতে বললে তখন তিনি টালবাহানা শুরু করেন। তার আচারনে সন্দেহ হলে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসি এবং তার খোজ-খবর নেই। থানা পুলিশ আসলে হিমেল মাফ চাওয়া শুরু করেন। পপরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওসমান পরিবারের রাজনীতির সাথে যুক্ত একাধীক নেতৃবৃন্দদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান জি এম হিমেল নামে আমরা কাউকে চিনি না। তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিন। মূলত তিনি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর লোক বলে পরিচিত। আমাদের দাবী, হাজী সাহেবের নাম ভাঙ্গিয়ে লোকজনের সাথে এরকম আচরণ যে বা যারা করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হউক।