নারায়ণগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, শিক্ষক দেখলেই নিজেকে স্বজাতীয় মনে হয়। যেহেতু আমি নিজে কিছুদিন শিক্ষকতা করেছি। এতো শিক্ষক একসঙ্গে দেখে মনে হয়, আগামীর নারায়ণগঞ্জের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আনন্দ পেলে স্কুল ছেড়ে যাবে না।
আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে গল্প বলতে হবে, গল্প বলতে দিতে হবে। উন্নত দেশ গুলোতে তারা শিক্ষার্থীদের গরু রচনান মুখস্থ করতে দেয় না। তারা গরু সামনে দাড় করিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারা নদীর সামনে নদীর বর্ননা দেয়।
ফুলের বাগানে নিয়ে বাগান সম্পর্কে ধারণা করে দিয়ে লেখতে দেয় এই হচ্ছে বই। আপনারা তাদেরকে দয়া করে রচনা মুখস্থ করাবেন তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেন। মুখস্থ করে গল্প হয় না, মুখস্থ করে পড়া হয় না এটাইর সৃজনশীলতা। আমি আশাবাদি নারায়ণগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সবচেয়ে ভালো করবে।
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নারায়ণগঞ্জের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলেয়া ফেরদৌসী শিখার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শাফিয়া আক্তার শিমু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাকিব আল রাব্বি জেলা প্রশাসন এর অনান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ সময় জেলা প্রশাসক মাহামুদুল হক আরো বলেন, আমরা অনেক সময় বলি শিক্ষার সংকট হচ্ছে দারিদ্র। দারিদ্র শিক্ষার সংকট হতে পারে না। আপনারা দেখবেন অনেক গরিব মেদাবি শিক্ষার্থী আছে তারা গণিত, ইংরেজী খুব ভালো জানে তারা গণিত ভালো বুঝে গণিত করে আনন্দ পায়।
স্কুল ছেড়ে চলে যায় না বিভিন্ন সহযোগিতা পেয়ে তারা লেখা পড়া চালিয়ে যায়। শিক্ষার সংকট হচ্ছে গণিত, ইংরেজী এটা জানে না বলে তাদের সহপাঠীদের সাথে লজ্জা পায়। যখন সে আনন্দ পায় না তখন সে স্কুল ছেড়ে যায়।
কিন্তু অর্থের অভাবে বা বাব -মা নেই তার জন্য লেখা পড়া ছেড়ে দিছে এরকম নজির নেই। সুতরাং আমাদের ওই জায়গায় কাজ করতে হবে। এই জেলায় আগামী ২০-৩০ বছর পর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে তা নির্ভর করছে আপনাদের উপর।
অভিভাবকদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন ঠিকমত স্কুলে আসে এবং পড়াশুনা করে। কোনো শিক্ষার্থী যদি ঠিকমত বিদ্যালয়ে না আসে, সে বিষয়ে তার অবিভাবককে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।